আমতলীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
_24_APRIL.jpg)

বরগুনার আমতলীতে করোনার কারণে গত দুই বছর জমেনি ঈদের বাজার। তাই এবার রোজার শুরু থেকেই মার্কেটমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলা সদরের থেকে শুরু করে সবকটি মার্কেট ও বিপণিবিতানে এখন মানুষের স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক কেনাবেচায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি বিদেশী শাড়ি আর রকমারী পোশাকের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট ক্রেতারা।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও ছেলে মেয়েদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে আমতলীর ঈদ বাজার। নিজেদের পছন্দের জিনিসটি কিনতে তারা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মার্কেট। ক্রেতাদের চাহিদা পুরণ করতে বিভিন্ন দেশের পোশাকের সমারোহ ঘটিয়েছেন দোকানিরা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের সামলাতে ব্যস্ত থাকছেন বিক্রেতারা। শাড়ি ও তৈরি পোশাকের দোকানে মহিলা ক্রেতাদেরই ভিড় বেশি।
উপজেলা সদরের ছোট বড় মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে বিভিন্ন রকমের পোশাকের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি। ক্রেতারা কারুকার্য আর রংবেরং এর দেশীয় শাড়িসহ বিদেশী শাড়ি কিনছেন। এ ছাড়া উপজেলাগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম ঈদ বাজার।
ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে আসা চাওড়া গ্রামের মো. লিমন খান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। তারপরও সন্তানদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনতে তো হবেই।
গতবারের তুলনায় এবার শাড়ির দাম একটু বেশি। প্রতিটি সূতি শাড়িতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩শ’ টাকা। আবার সিল্ক শাড়িতে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং জামদানি শাড়িতে বেড়েছে ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। তার পরও প্রিয় মানুষের জন্য খুশি মনেই কিনছেন ক্রেতারা। ঈদকে সামনে রেখে ভিন্ন ডিজাইন আর ভিন্ন দামের শাড়ী বাজারে এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, টাংগাইল শাড়ী, সূতি, হাফসিল্ক ও জামদানি সিল্ক, মসলিন এমব্রয়ডারি, জামদানি ও ঝলক কাতান। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে জামদানি, সূতি, টাংগাইল শাড়ি সহ হাতে বোনা সিল্ক শাড়ি। ক্রেতারা এবার গরমের কারণে সুতি শাড়িকে প্রধান্য দিচ্ছেন, আবার অনেকেই পছন্দ করছেন টাঙ্গাইল শাড়ি।
আকন বস্ত্রলায়ের স্বত্তাধিকারী মো. কামাল আকন জানান, এবার মহিলা ক্রেতাদের ভিড় বেশি। তাদের কাছে দেশী শাড়ির চাহিদাই বেশি। তবে বিদেশী শাড়িও কিনছেন তারা। আমতলীতে এবারের ঈদ বাজারে প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ির দাম রাখা হচ্ছে সাড়ে ৫শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা, হ্যান্ডব্লক ৭শ’ টাকা, এবং জামদানি ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ডিজাইন ও রকমভেদে শাড়িগুলোর দাম রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এন্ডি সিল্কের ওপর স্ট্রাইপ ও নক্সা করা নতুন ডিজাইনের শাড়ি চার হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা, এবারের ঈদেও জামদানি শাড়ি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
এদিকে বাজারে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্রের নামে মেয়েদের পোশাক এর দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে উপকূলীয় আমতলীর ঈদ বাজার।
এমইউআর
