ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সংস্কারের প্রভাবে বেহাল ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ শান্ত, ফিরলেন সাইফউদ্দিন বরিশালসহ চার বিভাগের অধিকাংশ স্থানে হতে পারে ভারী বৃষ্টি বিএম কলেজে ‘উত্তরণ’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের জ্যৈষ্ঠ উৎসব  জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ ‘৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রা*ণ গেল ২ হাজার ৭৭৮ জনের’ দলের কেউ অপরাধ করলেই ব্যবস্থা নেবে বিএনপি: রিজভী বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
  • নামের মিল থাকায় কারাগারে নিরাপরাধ জেলে

    নামের মিল থাকায় কারাগারে নিরাপরাধ জেলে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    বরগুনায় নামের সাথে মিল থাকায় মো. মনির মীর (৪৬) ডাকাতি মামলার আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবী, ওই মামলায় বিনা অপরাধে ছয় মাস হাজতবাসে ছিলেন মনির মীর এবং গত ছয় বছর ধরে ডাকাতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। 

    ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকায়। মনির মীর একই এলাকার  এচাহাক মীরের ছেলে। তিনি কৃষি ও কাঠ মিস্ত্রি হিসেবে জিবিকা নির্বাহ করেন। 

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার কলাবাগান থানার গ্রীন রোডের একটি ফাস্টফুডের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা কলাবাগান থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। মামলার বাদী মেহেদী হাসান। মামলা নং- জিআর-৮৭/১৬। আসামিরা হলেন- জালাল (৩৫), হারুন (৩৬), নুরুজ্জামান (৩২), শাহাবুদ্দিন (৩৬), এনামুল (২৮), মনির মীর (৩০) দুলাল (৩৪)। 

    এ ঘটনায় মনিরসহ বেশ কয়েকজন আসামির পিতার নাম, বংশ ও ঠিকানা অজ্ঞাত রেখে মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মনির এ মামলার ৬ নং আসামি। 

    ওই বছরের ১১ নভেম্বর আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার মনির মীরকে তার বাড়ী থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। ছয় মাস তিনি হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পান।

    মনির মীরের পরিবারের অভিযোগ, নামের সাথে মিল থাকায় ডাকাতি মামলায় গত ছয় বছর ধরে মনির মীর হাজিরা দিয়ে আসছেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাচাই বাছাই না করেই মনির গাজীর পরিবর্তে তাকে আসামি করেছেন। মামলার আসামি মনির গাজী এবং তার বাড়ী একই গ্রামে। 

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের হাতেম গাজীর থেকে মনির গাজী (৪৪) তার নামে অস্ত্র, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ ৭টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে সে এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

    মনির মীর বলেন, মনির গাজী এবং আমার বাড়ী একই এলাকায়। তার সাথে আমার নামের মিল রয়েছে কিন্তু পিতা ও বংশের কোন মিল নেই। পুলিশ যাচাই বাছাই না করেই মনির গাজীর পরিবর্তে আমাকে ডাকাতি মামলার আসামি বানিয়েছে। অপরাধ না করেও আমি ডাকাতি মামলার আসামি হয়ে ছয় মাস জেল হাজতে ছিলাম। আমি আর পারছি না, দ্রুত এ মামলা থেকে মুক্তি চাই।

    গ্রাম পুলিশ লোকমান মৃধা বলেন, ঢাকায় না গিয়েও মনির মীর ডাকাতি মামলায় কিভাবে আসামি হয় বুঝলাম না।মনির মীর সহজ সরল মানুষ। তবে মনির গাজী এলাকায় থাকে না, বিভিন্ন অপরাধের সাথেও জড়িত।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, মনির মীর একজন ভালো মানুষ। নামের মিল থাকলেও পুলিশ অধিকতর তদন্ত করেনি। অধিকতর তদন্ত করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

    তৎকালীন ঢাকা কলাবাগান থানার পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ১৬৪ ধারায় যাদের নাম বলেছে তাদের নাম ঠিকানা যাছাই করতে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়েছি। তারা যাচাই বাছাই শেষে আসামি সনাক্ত করেছে। 

    তিনি আরও জানান, আসামি সনাক্ত করতে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। আমতলী থানা পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। 

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামি মনির মীরকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে তিনি আসামি নন। তবে আদালত আমার কাছে তথ্য চাইলে আমি যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত তথ্য আদালতে দেব। 

    তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী মনির মীর ও পরিবার মামলার নথি ও কাগজপত্র নিয়ে আমার কাছে আসলে তাদের সহযোগীতা করা হবে।

     


    বরগুনা/রেজাউল ইসলাম টিটু/এসএমএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ