তারার আলোয় ঝলমলে গ্র্যামির রাত

সংগীতের মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো ৩ এপ্রিল। যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন এরেনায় বসেছিল এই পুরস্কারের ৬৪তম আসর। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়েই এদিনে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার। বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পী আর সংগীয়তায়োজকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন কমেডিয়ান ট্র্রেভর নোয়া।
৬৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন আগের মতো জমকালো হবে কিনা- তা নিয়ে অনেকে শঙ্কায় ছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে অনুষ্ঠান পিছিয়ে এপ্রিলে নিয়ে আসা হয়। তাই পিছিয়ে যাওয়া এই আয়োজন কেমন হবে- তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেকের।
গত ৩ এপ্রিল রাতে (বাংলাদেশ সময় গতকাল ভোর) সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ৬৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ওমিক্রন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল তা উড়িয়ে দিয়ে পুরো আয়োজন জমকালো করে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পী, সুরকার, সংগীতায়োজক, সংগীত প্রযোজক, ভিডিও নির্মাতা থেকে শুরু করে সংগীত-সংশ্নিষ্ট মানুষ এদিন ভিড় করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন এরেনায়। তাই তারার আলোয় ঝলমলে হয়ে উঠেছিল এবারের গ্র্যামির রাত।
এবারে গ্র্যামির আসরে সেরা আমেরিকান রুটস পারফর্মস, সেরা আমেরিকান রুটস গান, সেরা সংগীত এবং ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার জন্য সেরা স্কোর সাউন্ডট্র্যাকের জন্য কার্লোস রাফায়েল রিভেরার সঙ্গে পুরস্কার জিতেছেন জন বাতিস্তে। এবারের আসরে একাধিক শাখায় মনোনয়ন পাওয়া তারকাদের তালিকাতেও ছিল জন বাতিস্তের নাম। তবে বছরের সেরা গানের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ব্যান্ড সিল্ক্ক সনিকের 'লিভ দ্য ডোর ওপেন'। এর সুর করেছেন ব্রুনো মার্স এবং অ্যান্ডারসন পাক। ক্রিস স্টেপলটন ক'টি শাখায় মনোনয়ন ও পুরস্কার পান- তা নিয়েও কৌতূহল ছিল অনেকের। ভক্তদের সেই কৌতূহল মিটেছে স্টেপলটনের হাতে সেরা কান্ট্রি সলো শিল্পীর পুরস্কার ওঠার পর। অন্যান্য শাখার পুরস্কার নিয়েও জল্পনা-কল্পনা কম হয়নি। তার সমাপ্তি টানা হয়েছে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে।
এমইউআর
