ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

হোক ট্রাকে-অ্যাম্বুলেন্সে, বাড়ি যাওয়াই এখন মূল লক্ষ্য

 হোক ট্রাকে-অ্যাম্বুলেন্সে, বাড়ি যাওয়াই এখন মূল লক্ষ্য
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সামনেই ঈদ উল ফিতর। আর ঈদকে কেন্দ্র করে সড়কে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল। করোনাভাইরাসের রোধে সরকারের বিধিনিষেধ থাকলেও এগুলো আমলে নিচ্ছেন না সাধারণ জনগণ। যেকোনো উপায়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে যেতে হবে, এটাই যেন মূল লক্ষ্য।

বুধবার (১২ মে) এমনটাই দেখা গেছে রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায়। গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় দেখা গেছে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রাক, মিনি ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলে করেই শহর ছাড়ছেন মানুষ।

আকবর হোসেন। ঈদ উপলক্ষে অফিস ছুটি পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দ অন্যরকম। এজন্যই অফিসের ছুটি পেয়ে বাড়ির পথে রওনা হয়েছি। আমি এবং আমার স্ত্রী ট্রাকে চেপে রওনা হচ্ছি। ট্রাকে যেতে দুজনের ভাড়া লাগছে দুই হাজার টাকা। স্বাভাবিক সময়ে বাসে ভাড়া লাগে ৪০০ টাকা। সে হিসেবে জনপ্রতি ভাড়া আড়াইগুণ বেশি ভাড়া লাগছে।

রংপুরগামী শাহাদত বলেন, গার্মেন্টসের সুপারভাইজার পদে চাকরি করি। দুই হাজার টাকায় অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি যাচ্ছি। অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভাড়া অনেক বেশি। স্বাভাবিক সময়ে বাসে যেতে খরচ হয় ৫০০ টাকা। আর এখন লাগছে ২ হাজার টাকা। পাঁচদিনের ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরবো।

অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. খলিল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে বাস বন্ধ। কালকের পরই ঈদ, তাই গত কয়েকদিন ধরেই মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। আমি রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল এসেছিলাম। এখন যাওয়ার পথে খালি না গিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। দুই হাজার করে নিচ্ছি জনপ্রতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় পুলিশকে ম্যানেজ করে যেতে হবে। তা না হলে পুলিশ ঝামেলা করবে।

এদিকে গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী এলাকায় দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখী মানুষের চাপও বাড়ছে। দূরপাল্লার বাস না চললেও মানুষ নানা উপায়ে ঢাকা ছাড়ছেন। করোনাকালেও এসব মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই চোখে পড়েনি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন