কলাপাড়ায় প্রকাশ্যেই চলে নিষিদ্ধ জাটকা ক্রয়-বিক্রেয়


কলাপাড়ায় উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গ্রামাঞ্চলে ফেরী করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যেই নিষেদ্ধ জাটকা ইলিশ মাছ ক্রয়- বিক্রয়। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা ধরা সম্পুর্ন নিষেধ থাকা সত্যেও প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান ও তদারকির অভাবে প্রকাশ্য বাজারে জাটকা ইলিশ মাছ দেদারচ্ছে বিক্রি হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলার হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রামনাবাদ,আন্ধারমানিক নদী বঙ্গপসাগরে জেলেদের জালে জাটকা ইলিশ ধরা পড়ছে। এমনকি এ উপজেলার গ্রাম গায়ের হাটবাজারে ও ফেরী করে জাটকা বেচাকেনা করছে। বৃহস্পতিবার বাবলাতলা বাজার মহিপুর বাজার, বুড়িজালিয়া মাছ পল্লীতে কলাপাড়া চৌরাস্তা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ৩০০/৪০০ গ্রামের ইলিশ ধরা এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পুর্ন নিষেধ থাকা সত্যেও কতিপয় অসাধু জেলেরা নদী ও সাগর থেকে ২০০/৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ শিকার করে তা প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রি করে। অনেক দিন যাবৎ মৎস্য বিভাগ অভিযান না চালানোর কারনে নিষিদ্ধ জাটকা ক্রয়- বিক্রেয় হচ্ছে। অভিযান চালানো হলে হয়তো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ থেকে এ বিষয় কার্যকরী কোনো ভুমিকা লক্ষ্য করা য়ায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বঙ্গপসাগর ও রামনাবাদ নদী থেকে ইলিশ ধরে কুয়াকাটা, বুড়িজালিয়া, বাবলাতলা, চাপলীবাজার,মহিপুর,হাজীপুর,পাখীমার কলাপাড়া চৌরাস্তা,নোমরহাট বাজারে জাটকা ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ও মৎস্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারী বাজার নিয়ন্ত্রণ কারী নির্দিষ্টকারী অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে জাটকা ইলিশ যাত্রীবাহী বাসগাড়ীতেও বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাচার করছে।এ কারনে আগামী দিনগুলোতে ইলিশ মাছ সাগরে শূন্যতা দেখা দিতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান,আমরা নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ ধরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।তারপরও কিছু অসাধু জেলেরা রাতের আধারে ধরছে।এখরব পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এইচকেআর
