ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

বাউফলে আ.লীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাউফলে আ.লীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি ও মারধরের প্রতিবাদে বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম এ টি এম কাওছার হোসেন। তিনি বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দশমিনা ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকার পক্ষে কাজ করায় গত শনিবার কাওছারের ওপর নবনির্বাচিত জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান জাহিদুলের উপস্থিতিতে তাঁর বাহিনী কর্তৃক চাঁদা দাবি ও মারধরের প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে বাউফল-নওমালা সড়কের অলিপুরা বাজার এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধ কর্মসূচি হয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রব চৌকিদার। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সূর্য্যমনি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাচ্চু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক  লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন খান, যুবলীগ কর্মী সামছুল কবির ওরফে নিশাত প্রমুখ।

পরে বেলা ১১ টার দিকে ওই বাজারে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউফল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান ওরফে লিটন মোল্লা।

তিনি বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কাওছার হোসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিনের পক্ষে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত ছিলেন জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র চেযারম্যান প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহিদুল। নির্বাচিত হয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান জাহিদুল। গত শনিবার সকালে কাওছারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করে চেয়ারম্যানের লোকজন এবং চেয়ারম্যান জাহিদুল তাঁর সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য কাওছারকে বলেন। এর ব্যতয় হলে এলাকা ছাড়তে হবে বলে হুমকি দেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

এতে রাজি না হওয়ায় ওই দিন বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অলিপুরা বাজারে চেয়ারম্যান জাহিদুলের উপস্থিতিতে তাঁর লোকজন কাওছারের ওপর হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় কাওছার বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এর আগে ছাত্রলীগ কর্মী অর্জুন শীল ও সোহেলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাছাড়া করে জাহিদুল। এখন পর্যন্ত তাঁরা এলাকায় আসতে পারেনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি (জাহিদুল) চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ-ই নেননি। এর আগেই স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক হয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের নেতা-কর্মীদের মারধর ও এলাকা ছাড়া করার মিশনে নেমেছেন। এছাড়াও একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ঢুকে তাঁকে (জাহিদুল) সভাপতি বানানোর জন্য হুমকি দিয়েছেন। এটা ভালো ইঙ্গিত মনে হচ্ছে না। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে তাঁকে সহজ ও সরল পথে চলার অনুরোধ করছি। তা না হলে একদিন তাঁকে জনরোসে পড়ে পালাতে হবে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওইদিন তাঁকে (জাহিদুল) কটাক্ষ করায় তাঁর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাওছারের কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন। তাঁর (জাহিদুল) ও তাঁর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য না। তিনি এবং তাঁর কোনো নেতা-কর্মী কাউকে হুমকি দেননি এবং তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না বলেও দাবি করেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন