প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত পালতোলা ২২০ নৌকা


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত হয়েছে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। আগামী ২১ মার্চ উদ্বোধনের জন্য উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়ায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। রাবনাবাদ নদের তীরে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নদের বুকে নানা রঙে প্রস্তুত করা হয়েছে পালতোলা ২২০টি নৌকা।
গত এক সপ্তাহ ধরে খাপড়াভাঙ্গা ও আন্ধারমানিক নদের মিলনস্থল খালগোড়ায় বসে নৌকাগুলো বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন বরিশাল চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১০ জন শিক্ষার্থী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে চলছে বিভিন্ন সাজসজ্জা। এর মধ্যে অন্যতম হলো রঙ-বেরঙের আলপনা দিয়ে সাজানো জেলেদের মাছ ধরার ২২০টি নৌকা। ইতোমধ্যে সেগুলোর কাজও শেষ হয়েছে। বিভিন্ন রঙের তুলিতে সাজানো নৌকাগুলোকে পাল তুলে নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পালতোলা নৌকাগুলো ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি সংলগ্ন রাবনাবাদ নদীতে বিভিন্ন শ্লোগান, প্লেকার্ড, ফেস্টুন দিয়ে সুসজ্জিত করে নদীতে সারিবব্ধভাবে চলাচল করে শোভা বর্ধন করবে এবং রঙ-বেরঙের পোশাকে প্রতিটি নৌকায় ৫জন করে ১১শ জন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
স্থানীয়দের ধারণা, ২২০টি নৌকা বলতে দেশের ২২০টি আসনকে বোঝানো হয়েছে। আবার অনেকের ধারণা, উপকূলের জীবনযাত্রা এবং বাংলার ঐতিহাসিক নৌকা প্রতীকের প্রকৃত সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলা হবে।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তার মধ্যে কোভিড প্রটোকলও রয়েছে। সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সাদা পোশাকেরসহ চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন গণ্যমাধ্যমকে বলেন, শুধু পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নয়, ওই দিন দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
এসএম
