ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

Motobad news

যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া চার আফগানি আশ্রয় চাইলেন লন্ডনে

যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া চার আফগানি আশ্রয় চাইলেন লন্ডনে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায় সদ্য শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে গিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল আফগানিস্তান যুব ক্রিকেট দল। সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিল তারা। টুর্নামেন্টে চতুর্থ হয়ে ফিরেছে আফগান যুবারা।

কিন্তু অ্যান্টিগা থেকে দলের সঙ্গে দেশে ফিরে আসেননি আফগানিস্তান দলের চার সদস্য। তারা রয়ে গেলেন লন্ডনে। অ্যান্টিগা থেকে লন্ডনে ছিল তাদের ট্রানজিট ভিসা। সেখানে নামার পর পুরো দল দেশে ফিরে গেলেও ওই চারজন থেকে গেলেন লন্ডনেই।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, আজই (৮ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে তাদের ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে ওই চারজন।

ক্রিকইনফো নিশ্চিত হতে পারেনি, সেই চারজন কারা কারা। সেখানে কতজন ক্রিকেটার রয়েছেন। তবে, ক্রিকইনফো বলছে, অন্তত একজন ক্রিকেটার রয়েছে ওই চারজনের মধ্যে।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি এ সম্পর্কে।

অ্যান্টিগা থেকে রোববার সকালে লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে এসে অবতরণ করে আফগান ক্রিকেট দল। সেখান থেকে নিজ দেশে ফিরে আসার কথা পুরো দলের। কিন্তু সোমবার কাবুল বিমান বন্দরে যখন আফগান ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের বরণ করতে যায়, তখনই জানাজানি হয় লন্ডন থেকে চারজনের না ফেরার কথা।

ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রানজিট ভিসায় কোনো ব্যক্তি তাদের দেশে ৪৮ ঘণ্টার বেশি অবস্থান করতে পারবে না। এর অর্থ, হচ্ছে আজই (৮ ফেব্রুয়ারি) ওই চারজনের ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ভিসা জটিলতায় পড়েছিল আফগান ক্রিকেট দল। যে কারণে তারা বিলম্বে অ্যান্টিগা পৌঁছেছিল। ওই ভিসাতেই লন্ডন হয়ে কাবুল ফেরার পথে ছিল আফগানরা।

আফগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ এবং সাবেক আফগানি ক্রিকেটার রইস আহমাদজাই বলেন, ‘আমি ওই চারজনকে বলবো, তারা যেন বিষয়টা পূণর্বিবেচনা করে এবং দেশে ফিরে আসে।’ তিনি জানান, ওই চারজনকে তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন এবং তারা সেই বার্তা রিসিভও করেছে। কিন্তু কোনো প্রতিউত্তর জানায়নি।

ক্রিকইনফোর কাছে আহমদজাই বলেন, ‘আমি তাদেরকে বলেছি যে, আফগানিস্তানের প্রয়োজন আছে তাদেরকে। খেলাধুলা এবং ক্রিকেট দিয়ে আফগানিস্তানেই অনেক কিছু করার আছে। বিশ্বকাপের সময় আমরা যে সমর্থন পেয়েছি (কাবুল সরকারের কাছ থেকে), সেটা অভাবনীয়, অবিশ্বাস্য। যখন আপনি নিজের দেশের জন্য কিছু করবেন, তখন সেটা সারা জীবনের জন্য আপনার অর্জন হয়ে থাকবে।’


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন