বাউফলে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ

পটুয়াখালার  বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতোশখালী গ্রামে  চাচা শ্বশুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মোসা. মুক্তা বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্বমীর নাম মো. সোহেল মৃধা (৩০)। তাঁদের সংসারে মো. মাহিন (৯) ও মো. সিয়াম (৪) নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুক্তার স্বামী  সোহেলের সঙ্গে তাঁর চাচা আবদুল মজিদ মৃধার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোহেল সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় চাচা মজিদ মৃধা ভাতিজা সোহেলের জমি জবর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর তাতে মুক্তা প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন তার  চাচা শ্বশুর আবদুল মজিদ।প্রায়ই কারণে অকারণে  মুক্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল এবং মানসিক নির্যাতন করতেন আবদুল মজিদ।

সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তার সঙ্গে  আবদুল মজিদের পুত্রবধূ মোসা. লাবনীর (২০) ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আবদুল মজিদ এসে মুক্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও মারধর করেন। ওই ক্ষোভে ও দু:খে মুক্তা শনিবার সন্ধ্যার দিকে কীটনাশক ওষুধ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। ওই সময় মুক্তার মা মোসা. নিলুফা বেগম দেখে ফেলেন। তাঁর (নিলুফা) চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে মুক্তাকে উদ্ধার করে এবং তাঁকে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

রোববার (২৫ এপ্রিল ) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় শুয়ে মুক্তা বেগম বলেন,‘চাচা শশুর আবদুল মজিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিলাম না। এ কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম।’

এ বিষয়ে আবদুল মজিদ বলেন,‘গালাগাল ও মারধরের অভিযোগ সত্য না। তবে কি কারণে মুক্তা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল তা আমার জানা নাই।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন,‘তাঁর (মুক্তা) পাকস্থলী থেকে কীটনাশক ভালোভাবে পরিস্কার হয়েছে।এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।’

বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন,’ এ বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি।তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’