পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডের এখতিয়ার নিয়ে হাইকোর্টে আইনজীবীর প্রশ্ন


চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার এখতিয়ার নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্ন তুলেছেন এক আইনজীবী। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহষ্পতিবার এ প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পরীমনির রিমান্ড বন্ধে আদালতের কাছে স্বপ্রনোদিত আদেশ চান আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। তবে আদালত ওই আইনজীবীকে লিখিত আবেদন দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মাই লর্ড, সিআরপিসিতে (ফৌজদারি কার্যবিধি) রিমান্ডের কোনো বিধানই নেই। এরপরও চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বার বার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। তাই রিমান্ড বন্ধে আদালতের কাছে স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করছি।
এসময় আদালত বলেন, কোন মামলায় রিমান্ড নেওয়া হচ্ছে বা চাচ্ছে, তা পত্রিকার খবর দেখে অনেক সময় বোঝা যায় না। আদালত বলেন, মনে করুন, কোনো এক ব্যক্তিকে এক মামলায় আটক করেছে। আরো তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হচ্ছে। তাকে একেক সময় একেক মামলায় রিমান্ডে নিচ্ছে। এটি তো নিতেই পারে। তবে কত বার রিমান্ড নিচ্ছে, কত দিন রিমান্ড নিচ্ছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদালত বলেন, এগুলোতে সুয়োমোটো রুল (স্বপ্রণোদিত আদেশ) জারি করা যায় না। তাই আপনি আগে একটা আইনী নোটিশ দেন। কোন আইনে রিমান্ডে নেয় তা জানেন। এরপর আপনি যথাযথভাবে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তারপর আমরা দেখবো।
জবাবে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সিআরপিসির ১৬৭ ধারায় আছে, আদালত জুডিশিয়ালি রিমান্ড দিতে পারে। কিন্তু পুলিশ রিমান্ড দেওয়ার কোনো বিধান নাই।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা করে র্যাব। এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত বৃহষ্পতিবার পরীমনির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বনানী থানায় করা এই মামলায় পরীমনিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে একই মামলায় প্রথম দফায় চারদিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এমবি
