বাংলাদেশেও ফ্রাঞ্চাইজি প্রো কাবাডি


বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। এটি থেকে এশিয়ান গেমসে নিয়মিত পদক আসত এশিয়ান গেমসে। গত এশিয়াডে কাবাডি থেকে আসেনি কোন পদক। কাবাডি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি খেলাটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে বিশেষ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরেই প্রো কাবাডি নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো আলোর মুখ দেখেনি। করোনাকাল কেটে গেলে ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি আয়োজনের অঙ্গীকার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের, ‘আমরা কিছু কাজ এগিয়ে এনেছিলাম। করোনার জন্য আর সেভাবে অগ্রসর হইনি। কারণ কাবাডি বডি কনট্যাক্ট খেলা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা আবার উদ্যোগী হবো।’
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভারত প্রো কাবাডি আয়োজন করছে। বাংলাদেশ থেকে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮ জন ভারতের প্রো কাবাডিতে ডাক পেয়েছেন। এটিকে বাংলাদেশের কাবাডির জন্য বিশেষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘বাংলাদেশের কাবাডির জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সব সময় তাদের পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশের কাবাডিতে খেলোয়াড়েরা মূলত সার্ভিসেস বাহিনীর হয়ে খেলা। জেলা দল ও অন্য খেলোয়াড়েরা তেমন সুবিধা পান না। এজন্য সকল খেলোয়াড়দের জন্য কাবাডি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট করেছে ফেডারেশন, ‘কাবাডি কেন যে কোন খেলায় মূল খেলোয়াড়রা। তাদের আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমরা ওয়েলফেয়ার ফান্ড করেছি।’
গত কয়েক বছর বাংলাদেশের কাবাডি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের দ্বারা। কাবাডির অনেক সংগঠকরা কিছুটা দূরে থাকলেও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কাবাডি ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ায় কাবাডির চেহারা কিছুটা বদলেছে। পল্টনস্থ কাবাডি স্টেডিয়ামে বড় সুন্দর ভবন হয়েছে। মৌলভীবাজারে কাবাডি কোর্ট হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় কাবাডিতে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ আর সেভাবে শোনা যায় না। প্রো কাবাডি আয়োজন হলে বাংলাদেশের কাবাডিতে ভিন্ন মাত্রা আনবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশে এমন আন্তর্জাতিক আয়োজন ও বাংলাদেশের শিরোপা জয় এটাই প্রথম। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ফেডারেশনের, ‘আমরা কাবাডি দলকে ভালোভাবে পুরস্কৃত করতে চাই। করোনা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলে আমরা ক্রীড়াঙ্গনে সবাইকে মিলে ভালো একটা অনুষ্ঠান কর।’ বলেন সাধারণ সম্পাদক।
এইচকেআর
