সাধারণ মানুষের প্রাণহানির রেকর্ড আফগানিস্তানে


দীর্ঘ বিশ বছরের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এ বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এই সময়ে রেকর্ডসংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত কিংবা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে। এছাড়া চলতি বছরের মে ও জুন মাসে যত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে জাতিসংঘ ২০০৯ সাল থেকে দেশটিতে প্রাণহানির হিসাব রাখতে শুরু করার পর দুই মাসে এত প্রাণহানি আর কখনোই হয়নি।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালে দেশটিতে ৬৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে সরকারবিরোধী পক্ষের হাতে। এছাড়া সরকারি বাহিনীর হামলায় মৃত্যু ২৫ হয়েছে শতাংশের। বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ১১ শতাংশ। মোট মৃত্যুর ৩২ শতাংশই শিশু।
আফগানিস্তানের সরকারী বাহিনীর সঙ্গে তালেবান বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে। বিশ বছরের মিশন শেষে সব আন্তর্জাতিক সেনা আফগানিস্তান ছাড়ায় শক্তি আরও বেড়েছে তালেবানের।
সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এই সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে হামলা বাড়িয়েছে তালেবান। সেই হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যে বিমান হামলা শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) জানিয়েছে, ‘মে থেকে জুনে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা হঠাৎ এত বৃদ্ধি পেয়েছে যা গুরুতর উদ্বেগের। পূর্বের চার মাসে যত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই দুই মাসে মৃত্যু হয়েছে সমপরিমাণ।’
এইচকেআর
