আফগান সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন করল পাকিস্তান


সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধাসামরিক বাহিনী সরিয়ে আফগান সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন শুরু করেছে ইমরান খান সরকার।
শনিবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী এবং তালেবানের সংঘর্ষের জেরে সীমান্তে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্যারামিলিটারি ফোর্স সরিয়ে সীমান্ত চৌকির দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আফগানিস্তানে নতুন করে শুরু হওয়া অস্থিরতার জেরে সীমান্ত পার হয়ে বহু শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে। আর শরণার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করতেই সীমান্তের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
গত মে মাসে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পরেই আফগানিস্তান জুড়ে তালেবানের সক্রিয়তা বেড়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ইতোমধ্যে ইরান সীমান্তবর্তী ইসলাম ই-কালা এবং তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত লাগোয়া টোরঘুন্ডি শহর দখল করে নিয়েছে। গেল সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ লাগোয়া স্পিন-বলদাক শহরও দখলে নেয় তালেবান।
সীমান্তে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যুক্তি দেওয়া হলেও আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তা মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, তালেবান বিদ্রোহীদের সহায়তার উদ্দেশ্যেই আফগানিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান সীমান্তে অবস্থান নিচ্ছে পাক বাহিনী।
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিও সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালেবানকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ অভিযোগ করেন, তালেবান স্পিন-বলদাক সীমান্ত দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালেবানকে সহায়তা দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আফগান সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারিভাবেই হুমকি দিয়ে বলেছে, তালেবানকে স্থানচ্যুত করতে চাইলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী প্রতিহত করবে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী কিছু এলাকায় তালেবান যোদ্ধাদের বিমান দিয়ে সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ করেন আফগানিস্তানের সাবেক এই গোয়োন্দা প্রধান।
তবে পাকিস্তান তালেবানকে সহায়তা করার অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এমবি
