মামুনুলের পক্ষে স্ট্যাটাস দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে শোকজ


হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে 'সাফাই' গাওয়ায় ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সমালোচনার ঝড় বইছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্য।
হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেওয়ায় এখনো দল থেকে ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার না করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তবে জানা গেছে, ওই দুই নেতাকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, হেফাজত নেতা নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে অবরুদ্ধ থাকা থেকে মুক্ত হওয়ার পর ওই রাতে মামুনুল হক এর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রবিন। ওই পোস্টে তিনি লিখেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, ষড়যন্ত্রের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন মামুনুল হক'। এ ছাড়া অপর একটি পোস্টের কমেন্টসে তিনি লেখেন, 'সত্যতা না জেনে তাকে অপরাধী বলব না, সত্যের অপেক্ষায় থাকলাম..'।
এদিকে জেলার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম জামিল তুহিন তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একই সময় একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হেফাজত ভাইদের এখন উচিত নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্ট থেকে মামুনুল হককে উদ্ধার করা।’
ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে। ওই দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই দুই দায়িত্বশীল নেতাদের পোস্ট নজরে আসার পর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ ফয়সাল আহমেদ রবিন জানান, ‘মামুনুল হক যখন জনতার হাতে ধরা পড়েন, তখন আমি মজা করে এই পোস্টগুলো লিখেছিলাম। নিছক মজা করার জন্যই লেখা। আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি হেফাজত নেতার পক্ষে সাফাই গাইবো, তা কখনোই হতে পারে না।’
/ইই
