ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

ঈদ জামাতে মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ দোয়া

ঈদ জামাতে মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ দোয়া
ঈদ জামাতে মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ দোয়া
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে বরিশালসহ সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ‍ঈদ ‍উল ‍আযহা। ‍আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে ‍ঈদের নামাজ ‍আদায় পরবর্তী ‍আল্লাহ্‘র নামে পশু কুরবানির মধ্যে দিয়ে কুরবানির ‍ঈদ ‍উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এদিকে, পবিত্র ‍ঈদ ‍উল ‍আযহার নামাজ শেষে দেশের সকল মসজিদে মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ‍এবং দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম ‍উম্মাহ’র সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে।

এসময় ‍ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করা মুসল্লিরা দু’চোখের পানি ফেলে মহান স্রষ্টার কাছে দোয়া ‍এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এর ‍আগে বুধবার সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদে ‍ঈদ ‍উল ‍আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ‍তবে ‍এবার বরিশাল নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়নি ‍ঈদের প্রধান জামাত। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বরিশালের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, ‍এবায়দুল্লাহ্ মসজিদ, জামে কসাই মসজিদ, পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে দুই থেকে তিনটি করে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্ববৃহৎ ‍ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে চরমোনাই দরবারে। সেখানে ‍ঈদের জামাতে ‍ঈমামতি করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম।

এছাড়া ঝালকাঠি ‍এন.এস কামিল মাদ্রাসা (হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের দরবার), মির্জাগঞ্জ দরদার শরীফ, গুঠিয়া বায়তুল ‍আমান জামে মসজিদসহ অন্যাান্য মসজিদে ‍ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের দুই রাকাত নামাজ ‍আদায় শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ খুতবা। বিশেষ করোনা থেকে মুক্তিসহ দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম ‍উম্মাহ’র সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাতে বলা হয়, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের সব মুসলিম উম্মাহকে মাফ করে দিন। বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। বিশ্বমানবতাকে রক্ষা করুন। কঠিন এ করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন মাওলা। আপনার খাস রহমত নাজিল করুন।

মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ সময় 'আমিন আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত হয় সকল মসজিদ।

এদিকে, করোনার কারণে মসজিদে মসজিদে ‍ঈদ জামাত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‍উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি মসজিদেই মানুষের মাঝে অসচেতনতার চিত্র ফুটে ‍উঠে। অনেকের মুখে ছিলো না মাস্ক। ‍আবার করমর্দন ‍এবং কোলাকুলিও করেছেন অনেকে।

ঈদের নামাজ ‍আদায় শেষে শুরু হয় পশু কুরবানি। সড়ক, পাড়া-মহল্লা, বাড়ির ‍আঙিনা ‍এবং বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ‍আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ‍আল্লাহ’র নামে পশু কুরবানি করেন। ‍এখন চলছে মাংস বানানোর কাজ।

অপরদিকে, ‍ঈদ জামাতকে ঘিরে নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ‍এবং র‌্যাবসহ বিভিন্ন ‍আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোর বাইরে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা। ফলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ‍ঈদ ‍উল ‍আযহার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।


কেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন