লাগামহীন করোনা : ফের লকডাউনের কবলে বিশ্ব


করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এশিয়ার ভারত থেকে শুরু করে লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ আবারও লকডাউন এবং কারফিউয়ের কবলে পড়েছেন। মহামারি নিয়ন্ত্রণে আশার আলো নিয়ে হাজির হওয়া বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত কয়েকটি ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হলেও সরবরাহে বিলম্ব এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লাগামহীন হয়ে ওঠা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আরেক দফায় নতুন করে এই লকডাউন এবং কারফিউয়ের পথে হাঁটছে বিশ্ব।
তবে মহারাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহের শনিবারে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে; ওইদিন মহারাষ্ট্রের সাড়ে ১২ কোটি মানুষ কার্যত গৃহবন্দি থাকবেন। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং ওষুধ কেনার জন্য ছাড়া কেউই বাড়ির বাইরে আসার অনুমতি পাবেন না। এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। এর পাশাপাশি রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে এই রাজ্যে।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার প্রায় ৮০ লাখ মানুষকেও বাড়িতে রাখতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বোগোটার পাশাপাশি দেশটির আরো চারটি শহরে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি হয়েছে।
শুক্রবার থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে আর্জেন্টিনা। মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে এই কারফিউ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়; যা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এছাড়া দেশটির উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে— বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্রের বার এবং রেস্তোরাঁ রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।
আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ায় এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই অঞ্চলে করোনা সংক্রমণে সবার ওপরে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ছাড়িয়েছে এক কোটি ৩৩ লাখ। ফ্রান্সও কিছু কিছু বিধি-নিষেধ জারি করেছে।জার্মানি মানুষের চলাচল ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যদিও দেশটির অনেক রাজ্য সরকারের বিধি-নিষেধ মানতে অনীহা প্রকাশ করেছে।
করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধে পরিবর্তন আনছে বার্লিন। বার্লিনে রাত্রিকালীন কারফিউ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিপরীত চিত্রও দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু দেশ করোনার বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এমবি
