ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

ভাণ্ডারিয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ

ভাণ্ডারিয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় রবিবার (১৮জুলাই) রাতে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে। 

জানাগেছে, করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভিটাবাড়িয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল শিক্ষার্থী উপজেলার ১নম্বর ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন লিটনের ছোট মেয়ে (১৩) এর সাথে ঐ শিক্ষার্থীর আপন চাচা রিপন হাওলাদারের ভায়রার ছেলে একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু জাফরের ছেলে একটি ওষুধ কোম্পানীর বিপণনকর্মী মো.রিফাত (২৯) এর সাথে রবিবার রাতে বিবাহের আয়োজন করা হয়। 

রাতে বর পক্ষের লোকজন মেয়ের বাড়িতে আসলে স্থানীয়রা ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর কে মুঠো ফোনে জানালে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে তিনি রাত আনুমানিক পৌঁনে নয়টার দিকে থানা পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হাজির হন।
 
এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষের লোকজন সটকে পড়ে এবং মেয়ের ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে তার পরিবারের লোকজন। জিজ্ঞাসা বাদের এক পর্যায়ে ও  মেয়ের স্কুল সনদ দেখার পরে এবং যে স্কুলে মেয়ে পড়া শুনা করে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঐ মেয়ে। সকলের সামনে আসল সত্য স্বীকার করেন মেয়ে, মেয়ের বাবা এবং চাচা।

 বাবা লিটন ১৮বছর পূর্ণ না হলে মেয়েকে বিবাহ দেয়া হবেনা বলে জোর আবেদনে এবং ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর এবং  স্থানীয়দের অনুরোধ করেন। পরে উপস্থিত সকলের অনুরোধে করোনা কালিন মানবিক দিক বিচার করে শর্ত সাপেক্ষে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর ,থানা পুলিশ এবং উপস্থিতিদের সামনে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন মেয়ের বাবা এবং চাচা। সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্না। 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন