ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

প্রথম দেখায়ই প্রিন্স ফিলিপের প্রেমে পড়ে রানি এলিজাবেথ 

প্রথম দেখায়ই প্রিন্স ফিলিপের প্রেমে পড়ে রানি এলিজাবেথ 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

সামরিক বাহিনীতে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রিন্স ফিলিপ ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। তার মায়ের পরিবারের সমুদ্রভ্রমণের ঐতিহ্য ছিল। যে কারণে তিনি ডারমাউথে ব্রিটানিয়া রয়েল নেভাল কলেজের একজন ক্যাডেট হন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রানি এলিজাবেথ কলেজটিতে ভ্রমণে গেলে দুই প্রিন্সেস এলিজাবথ ও মার্গারেটের সহচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফিলিপ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রিন্স ফিলিপ সেখানে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হন। ১৩ বছর বয়সী কিশোরী প্রিন্সেস এলিজাবেথের হৃদয়ে তিনি গভীর ছাপ ফেলে দেন।

আর এখান থেকেই তাদের প্রেমের শুরু। যা পরবর্তীতে ৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে রূপ নেয়।

ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে দ্রুতই নিজের অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা দেখিয়ে দেন প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৪০ সালে শ্রেণিকক্ষে নিজেকে সেরা ছাত্র হিসেবে প্রমাণ করেন এবং ভারত সাগরে প্রথমবারের মতো সামরিক পদক্ষেপ দেখান। ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ভ্যালিয়েন্টের বহরে তাকে স্থানাস্তর করা হয়।

১৯৪১ সালে কেপ ম্যাটাপান যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন এই রাজপুত্র। তিনি জাহাজের সার্চলাইটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিলেন। এতে রাতের বেলার সামরিক কার্যক্রমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

২০১৪ সালে বিবিসি রেডিও ৪-কে তিনি বলেন, রাতের বেলা আরেকটি যুদ্ধজাহাজ আমার চোখেল সামনে ভেসে ওঠে। দেখামাত্রই সেটির মাঝের অংশ জ্বালিয়ে দিই। গোলার আঘাতে সেটি তাৎক্ষণিক অদৃশ্য হয়ে যায়।

১৯৪২ সালের অক্টোবরে রয়েল নেভির প্রথম কনিষ্ঠ লেফটেন্যান্টদের একজন হিসেবে ডেস্ট্রয়ার এইচএমএসে ওয়ালেসে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। 

এই পুরো সময়টিতে প্রিন্সেস এলিজাবেথের সঙ্গে তার চিঠি আদানপ্রদান হয়। বিভিন্ন উপলক্ষ্য ও অনুষ্ঠানে রাজপরিবারের সঙ্গে থাকতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

১৯৪৩ সালের ক্রিসমাস শেষ হলে কোনো এক সফরের পর নৌবাহিনীর উর্দি পরিহিত ফিলিপের একটি ছবি তার ড্রেসিং টেবিলে রাখেন এলিজাবেথ। তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শান্তিকালীন সময়ে। 

যদিও সভাষদদের তরফ থেকে কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেছেন।

ফিলিপকে একজন সভাষদ ‘বাজে আচরণের লোক’ বলে বর্ণনা করেন। কিন্তু প্রিন্সেস এলিজাবেথ খুব ভালোভাবেই তার প্রেমে ডুবে যান। ১৯৪৬ সালে রাজার কাছে প্রথম তাদের বিয়ের কথা তোলা হয়।

যাই হোক, তাদের বাগদানের আগে প্রিন্স ফিলিপের নতুন জাতীয়তা ও পারিবারিক নামের প্রয়োজন হয়। তিনি তার গ্রিক রাজ উপাধি ত্যাগ করে ব্রিটিশ নাগরিক হন। মায়ের নামের ইংরেজিকরণ মাউন্টব্যাটন গ্রহণ করেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের দিন তাকে রাজকীয় পদমর্যাদা দেওয়া হয়। বিয়ের দিন সকালে তিনি ডিউক অব এডিনবার্গ পদবি নেন। ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।


টিএইচএ/
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন