কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে পবিপ্রবির শিক্ষককে বরখাস্ত


পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিব নাথ পাট্টাদারকে চূড়ান্ত (স্থায়ী) বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অনুমোদনহীন ছুটি গ্রহণ ও প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাঁকে এ শাস্তি আওতায় আনা হয়।
আদেশে তাঁকে এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভোগকৃত সম্পত্তি, শিক্ষা ছুটির বন্ডের শর্ত অনুযায়ী প্রদেয় অর্থ ও দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যাপক শিব নাথ পাট্টাদার আমেরিকায় পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আগস্ট ২০১৭ থেকে জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে মোট দুই বছর চার মাসের শিক্ষা ছুটি নেন।
পরবর্তীকালে পিএইচডি ডিগ্রির অসমাপ্ত গবেষণাকাজের জন্য পুনরায় এক বছরের জন্য অর্ধবেতনে এবং আরও এক বছরের জন্য বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি নেন।
কিন্তু ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে পুনরায় ছুটির আবেদন ছাড়াই দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকেন। এতে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। পরপর তিনবার নোটিশ পাঠালেও তাঁর কোনো প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনায় সবার সম্মতি ক্রমে শিব নাথ পাট্টাদারকে দোষী সাব্যস্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, শিব নাথ আমেরিকা থেকে সম্ভবত আর আসবেন না। তাঁকে বারবার চিঠি দিয়েও বাংলাদেশে আনা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর অনেক দেনা-পাওনার বিষয় আছে। আমরা তাঁকে তিনবার নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছি, কিন্তু তার কোনো প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিধিমালা অনুযায়ী তাঁকে আমরা চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছি। পরবর্তীকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, এখানে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
এইচকেআর
