৯ মাস পর এসে জনরোষ থেকে বাঁচতে দ্রুত স্কুল ত্যাগ করলেন প্রধান শিক্ষক হেলাল


মো. হেলাল উদ্দিন। লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক অবস্থায় ছিলেন।
দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে হঠাৎ তিনি স্কুলে উপস্থিত হন। তিনি স্কুলে আসছেন এই খবর পেয়ে তার কাছ থেকে টাকা পাবে এমন লোকজন স্কুলে গিয়ে হাজির হন। স্কুলের বাহিরে লোকজন জড়ো হচ্ছে এই খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন দ্রুত স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্কুল গেটের সামনে লোকজন তাকে আটকিয়ে তাদের পাওনা ফেরত দিতে বলেন।
এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সাথে পাওনাদারদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে একজন এগিয়ে আসেন। তিনি উত্তোজিত জনতাকে থামানোর চেষ্টা করে এবং হেলাল উদ্দিনকে একটি অটো রিক্সায় উঠিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে দেন।
জানা যায়, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই। এই সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার তিনি লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হন। প্রধান শিক্ষক হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি, বাজারের জায়গা, পুকুর বিক্রি করা শুরু করেন। এই বিক্রি বাবদ প্রায় ৩৪৮ জনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নেন। কিছু লোককে জমি, বাজারের ঘর বুঝিয়ে দিলেও অনেকের টাকা তিনি আত্নসাৎ করেন।
চাচাতো ভাই এমপি হওয়ার সুবাধে তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পেত না এবং তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্কুলে অনেক শিক্ষককে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরে সারা দেশের ন্যায় লালমোহন উপজেলার এই স্কুলটি সরকারি করণ করা হয়। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তিনি জনরোশের ভয়ে স্কুলে আসেসনি এবং লালমোহনেও তাকে দেখা যায়নি। প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিভিন্ন অনিয়ম ও স্কুলে না আসায় তাকে অপসারন করতে ছাত্র জনতা একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ ব্যাপারে জানতে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের মোবাইলে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ত এবং বুজিনা বলে কেটে দেন। এরপর একাধিক বার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এইচকেআর
