ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, চিকিৎসককে গণধোলাই

অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, চিকিৎসককে গণধোলাই
ছবি: সংগৃহীত 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ডা. নাইমুল হাসনাত নামে কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে গণধোলাই দিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। 


শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজসহ পুলিশের একটা টিমের সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালের ভেতর থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা পুলিশকে উপেক্ষা করে ওই চিকিৎসককে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। পরে দ্রুত পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে ওই চিকিৎসককে নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে পুলিশ। এর আগে, হাসপাতালের ভেতরে রোগীর স্বজনরা প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন ওই চিকিৎসককে।

রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মাকসুদুর রহমান শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় রোগীকে জরুরি বিভাগে রেখে জুমার নামাজ পড়তে যান হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসনাত। পরে নামাজ শেষে এসে ওই রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। আর এতেই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ওই রোগীর স্বজনরা। এরপর তারা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ করেন এবং ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশের সঙ্গে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় চিকিৎসককে হাসপাতালে প্রধান ফটকের সামনে গণধোলাই দেন স্বজনরা।


এ বিষয়ে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুফিয়ান রুস্তম বলেন, সারাদিন হাসপাতালে রোগীর অনেক চাপ থাকে। দুপুরে জুমার নামাজের সময় মাকসুদুর রহমান নামে একজন রোগীকে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে বলে চিকিৎসক নামাজ পড়তে যান, নামাজ শেষে আসতে আসতে রোগীটা মারা যান। পরে স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং তারা অভিযোগ করেন চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মারা গেছে। আগামীকাল আমরা বসব, তদন্তে চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, চিকিৎসক আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন