ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করতে পারবে: রণধীর জয়সওয়াল

নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করতে পারবে: রণধীর জয়সওয়াল
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) একটি সার্কুলার জারি করে জানায়, ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে। বাংলাদেশে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর এবং বন্দরগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লেখযোগ্য যানজট তৈরি হয়েছিল। লজিস্টিক বিলম্ব এবং উচ্চ ব্যয় আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছিল এবং আটকে যাচ্ছিল। তাই ৮ এপ্রিল থেকে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি জানান, স্পষ্ট করে বলতে গেলে এই পদক্ষেপগুলি ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না।

এর আগে সিবিআইসির সার্কুলারটির তথ্য জানিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে ভারত হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিবিআইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে টেক্সটাইল, ফুটওয়্যার, জেমস ও জুয়েলারিসহ ভারতীয় রপ্তানিখাত সুবিধা পাবে।  

এসব খাতে, বিশেষ করে পোশাকখাতে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। এজন্য সেদেশের রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।

দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) প্রধান অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিওটিও) আওতায় নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতির বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। ডব্লিওটিওর বিধান অনুসারে, সদস্য দেশগুলোকে পরস্পরকে স্থলবেষ্টিত দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দিতে হয়।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন