বাবুগঞ্জে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ গ্রেফতার ২


বাবুগঞ্জে চাঁদাবাজিকালে ভূয়া সাংবাদিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের লামচর আবাসন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীফালান মোল্লা। মামলা নম্বর ৫। মামলায় তারা ছাড়াও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আ. মালেক খানের ছেলে ভূয়া সাংবাদিক মুরাদ আলী ইমন ওরফে তসলিম (৪৫)। অন্যজন রহমতপুর ইউনিয়নের খানপুরার বাসিন্দা মৃত আফসার উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে শাহাজাহন হাওলাদার (৫০)।
এজাহার সূত্র জানাযায়, মুরাদ আলী ইমন ওরফে তসলিম ও শাহাজাহন হাওলাদারসহ ৭/৮ জনের একটি প্রতারকচক্র গত ২০ অক্টোবর রহমতপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড লামচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে গিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়।
একই চক্র সোমবার সন্ধ্যায় ওই আশ্রায়নের ঘরে গিয়ে আরো ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সন্দেহ হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের মধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়।
বাকিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
বাবুগঞ্জ থানার নবাগত ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর বরিশালের কীর্তখোলা নদীতে ইলিশ ধরতে গিয়ে বাবুগঞ্জের মাধবপাশা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের ইমন ওরফে তসলিম গ্রেফতার হয়। তখন তাকে ১ বছরের জেল দিয়েছিলো জেলা প্রশাসন। সে বিগত কয়েক বছর ধরে মানব অধিকারের নেতা বনে গিয়ে এলাকায় দাপোটের সাথে চাদাবাজী করে আসছিলো।
এর বিরুদ্ধে মানুষিক প্রতিবন্ধী ধর্ষণ, মুরগী চুরি, ইভটেজিং, ফার্মেসী থেকে প্রেসার মাপার যন্ত্র চুরিসহ হরেক রকম চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এইচকেআর
