জিলুল করিম: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক আলোর দিশারী


একজন স্বপ্নবাজ উদ্যোক্তা ।জিলুল করিম। ২০১৬ সালে যিনি তার বন্ধুদের সাথে মিলে শুরু করেন লাইট অফ হোপ এবং টোগুমোগু।শিশুদের শিক্ষার উন্নয়ন এবং পিতামাতার জন্য সহায়তা দান কর্মসূচি।
লাইট অফ হোপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জিলুল এবং তার দল বাংলাদেশে শিক্ষার নতুন অধ্যায় সূচনা করেন।এই প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের জন্য সৃজনশীল শিক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করে যা তাদের কল্পনা শক্তিকে জাগ্রত করে এবং নতুন চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে।স্কুল গুলোতে সরাসরি শিক্ষা প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি, ২০১৮ সালে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এবং সিসেম ওয়ার্কশপ বাংলাদেশএর সাথে মিলে ড্রিম, সেভ, ডু: ফাইনান্সিয়াল এমপাওয়ারমেন্ট ফর ফ্যামিলিস প্রকল্পের সূচনা করে।এই প্রকল্পটি সিসিমপুরের পরিচিত চরিত্রগুলোকে ব্যবহার করে শিশু এবং তাদের পরিবারকে সহজভাবে আর্থিক সঞ্চয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা শেখায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষায় আলো পৌঁছে দিতে লাইট অফ হোপ আরেকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণকরে।২০১৯ সালে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইউএসএআইডি এর সহায়তায় কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে সৌরশক্তি চালিত স্কুলগুলোতে সিসিমপুর সম্প্রচারিত হয়, যা শিশুদের জন্য নতুন শিক্ষার আলো নিয়ে আসে।এই উদ্যোগটি শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের জীবন পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে, টোগুমোগু প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জিলুল করিম নতুন বাবা-মা'দের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন।এই প্ল্যাটফর্মটি পিতা-মাতাদের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা এবং পণ্য সরবরাহ করে ২০২৪ সালেরমধ্যে, টোগুমোগু ২ লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করে।প্ল্যাটফর্মটি পিতা-মাতাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের সাথে মিলে গ্রামীণ দানোন ফুডস এর সহযোগিতায় শিশুদের জন্য সঠিক পুষ্টির ওপর গুরুত্ব দেয়।
টোগুমোগু-এর এই উদ্ভাবনী কাজ তাকে ২০২২ সালে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) এর ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়। একই সঙ্গে, এই প্ল্যাটফর্মটি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারে UNFPA এর সাথে কাজ করে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে, যা অনেক পরিবার এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সহায়তা প্রদানকরে।
জিলুল করিমের এই উদ্যোগগুলো শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে শিক্ষার আলো এবং পরিবারকে নতুনভাবে সহায়তা করার এক উদাহরণ।তার নেতৃত্বে লাইট অফ হোপ এবং টোগুমোগু সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করছে।
এইচকেআর
