ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

বাউফলে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা  যেনো থামছেই না

বাউফলে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা  যেনো থামছেই না
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিচ্ছিন্ন  চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারধর যেন থামছেই না।  

বুধবার নৌকার দুই সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। একজনকে ধাওয়া এবং আরেকজনকে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে।  বিজয়ী আনারশ প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজের ভাতিজা এনামুল হক ওরফে আলকাস মোল্লার কর্মী-সমর্থকেরা এসব হামলা ও মারধর করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

চন্দ্রদ্বীপ ইউপির রায় সাহেব গ্রামের আইয়ুব আলী সিকদার (৬৪) অভিযোগ করেছেন,‘নৌকার কর্মী ছিলাম। নৌকায় ভোট দেওয়ায় আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মো. জাহিদুলকে (১৪) আলকাস মোল্লার সমর্থক মো. সুজন হাওলাদার (২৪) ওমো. আরিফের (২২) নেতৃত্বে চার-পাঁচজন এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। ওই দৃশ্য দেখে তাঁর স্ত্রী মোসা. বেগম (৬০) অচেতন হয়ে পড়েন।’ তিনি আরও বলেন,বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।তাঁকেও মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোথাও যেতে পারছেন না।

এ বিষয়ে আলকাস মোল্লার কর্মী মো. আরিফ মুঠোফোনে সত্যতা স্বীকার করে বলেন,জাহিদ বেয়াদবি করেছে বলে মেরেছি।আরেকবার বলেন ওদের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ আছে বলে মেরেছি।

এদিকে এর আগে দুপুর একটার দিকে পশ্চিম মিয়াজান বাজারে মো. হাফিজুর রহমান (৩৫) নামে নৌকার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। ওই সময়ে মো. হাসান খন্দকার (২৬) নামে নৌকার এক কর্মী দৌড়ে নিজেকে রক্ষা করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছালাম শরীফ অভিযোগ করেছেন,‘হুমকি ও হামলার ভয়ে ট্রলারে করে ২৫ নেতা-কর্মীকে নিয়ে গত সোমবার রাতে পালিয়ে এসেছেন। এ রকম নৌকার আরও অনেক কর্মী-সমর্থক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’ 

নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন হাওলাদার বলেন,‘স্থানীয় সাংসদ আ সম ফিরোজের ভাতিজা আলকাস মোল্লার নির্দেশে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে যেভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে তা থেকে পরিত্রানের উপায় আমার জানা নাই। 

আলকাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাহিরে যেতে পারছি না। আপনারা লিখেন, প্রধানমন্ত্রীকে জানান।’এ বিষয়ে আলকাস মোল্লা বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি। তাঁরা শান্ত রয়েছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিরোধের কারণে মারামারি হলেও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ নৌকার কোনো কর্মী-সমর্থকের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না বলেও দাবি করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,সরেজমিনে গিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান আলকাস মোল্লাকে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের শান্ত রাখতে বলেছি। এরপরেও কারো ওপর হামলা ও মারধর করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন