কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে কেটে ফেলা হলো তালগাছ


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাস্তা সংস্কারের নামে কেটে ফেলা হয়েছে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি তালগাছ ও খেজুর গাছ। চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর ফকিরের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের মৌলভীতবক গ্রামের সড়কের গাছগুলো কেটে ফেলে স্থানীয়রা। এতে ওই এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ দিন আগে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ওই গ্রামের ২ কিলোমিটার সড়কে মাটি ফেলার কাজ করে চেয়ারম্যান মজিবর ফকির। এর আগে স্থানীয়দের বাড়ীর সামনে সরকারী সড়কের উপরে থাকা গাছ সরিয়ে নিতে বলেন চেয়ারম্যান।
পরে স্থানীয়রা নির্বিচারে ৩০ থেকে ৩৫ টি তালগাছ ও খেজুর গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী জোরখালী খালে ফেলে দেয়। এছাড়া সড়কে মাটি ফেলার সময় ভেকু দিয়েও অনেক গাছ অপসারন করা হয়।
বর্তমানে গাছগুলো ওই খালের মধ্যেই পরে আছে। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী ও বজ্রপাত প্রতিরোধক এসব গাছ না কেটেও সড়কে মাটি ফেলার কাজ করা যেতো বলে দাবি স্থানীয়দের।
মৌলভীতবক গ্রামের জামাল হোসেন মাতুব্বর জানান, আমার বাড়ির সামনে যে গাছগুলো ছিলো এসব গাছ ভেকু দিয়ে খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। আবার এই সড়কেরই অনেক স্থানের গাছ কাটা হয়নি। শুনেছি তাদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে রাস্তার গাছগুলো রাখা হয়েছে। আসলে এসব গাছ না কেটেও রাস্তায় মাটির কাজ করা যেতো।
নিশানবাড়ীয়া গ্রামের সাদেক হোসেন জানান, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। সেখানে আমাদের এলাকার রাস্তার অনেক তালগাছ ও খেজুরগাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়েছে।
একই এলাকার আল-আমিন তালুকদার জানান, রাস্তায় মাটি ফেলার আগে চেয়ারম্যান যার যার বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে থাকা গাছ কেটে ফেলতে বলেছে। তাই অনেকে রাস্তার উপর থাকা তালগাছ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলেছে।
আর যারা কাটেনি তাদের বাড়ির সামনের গাছগুলো মাটি ফেলার সময় ভেকু দিয়ে খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। আমারও বেশ কিছু গাছ ভেকু দিয়ে উপড়ে খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। সরকার যেখানে কোটি কোটি গাছ রোপন করে সেখানে আমাদের চেয়ারম্যান নির্বচারে গাছগুলো কেটে ফেলেছে।
চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর ফকির জানান, জনগনের ভোগান্তি লাঘবের কথা চিন্তা করে আমি শুধু রাস্তায় মাটি ফেলেছি। আমি কাউকে গাছ কাটতে বলিনি। কে বা কারা গাছ কেটেছে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
এইচকেআর
