রাজাপুরে স্কুলের ছাদের পলেস্তরাসহ ভিম ধসে ৫ ছাত্র আহত


ঝালকাঠির রাজাপুরের পূর্ব সাতুরিয়াা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একটি কক্ষে পলেস্তরাাসহ ভীম ধসে পরে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রোববার ক্লাস চলাকালীন বেলাপৌনে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ আজম, লিটন খান, রনি হাওলাদার, আব্দুল্লাহ ও তামিম আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই স্কুলের প্রায় ১৪৩ জন শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়টিতে আগে থেকেই শ্রেণিকক্ষে কম বেশি পলেস্তরা খসে পরতো। রোববার ক্লাস চলাকালীন বেলা পৌনে ১১ টার দিকে হঠাৎ ভিমসহ শ্রেণিকক্ষের কয়েকটি স্থান থেকে পলেস্তরা ধ্বসে পরে বিকট শব্দ হয়। পলেস্তরা শিক্ষার্থীদের মাথায় পরে আহত হয়।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পরে। আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। নতুন ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে ক্লাস করবেন না বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবক হানিফ, কবির ও সুলতান জানান, অনেক দিন ধরেই পলেস্তরা ভেঙে পরতো। কিন্তু কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। এভাবে হঠাৎ ভীম ভেঙে পরায় পর ওই স্কুলে আর কোন পড়াশোনার পরিবেশ নেই। আল্লাহ শিশুদের বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
আজকে (রোববার) বড় রকমের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতো। বড় বড় ভীম শিশুদের মাথায় পরলে নির্ঘাত মৃত্যু হতো। এর দায়ভার কে নিতো। নতুন করে স্কুলের ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ওই স্কুলে আর বাচ্চাদের পাঠাবো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০০৪ সালে পিডি ২ প্রকল্পের আওতায় স্কুলের এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছিলো। ২-৩ বছর ধরেই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তরা খসে পরা দেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম। তারা মাঝে মাঝে এসে ঘুরে দেখে যেতেন কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা না করায় ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ভবনটি এখন খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। কোনভাবেই এ স্কুলে ক্লাস করার পরিবেশ নেই। দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি করেন তিনি।
রাজাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি শুনে ভিডিও কলে দেখেছি, ওখানে যাওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষককে একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং ওই কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দিতে বলা হয়েছে, যাতে কোন শিক্ষার্থী ওখানে না যায়।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করার পর ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এইচকেআর
