ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

ব্যস্ততার তুলনায় বিক্রি নেই কামার পাড়ায়

ব্যস্ততার তুলনায় বিক্রি নেই কামার পাড়ায়
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আর মাত্র একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ব্যস্ততা বাড়ছে কামারের দোকানগুলোতেও। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে প্রস্তুতি থাকে এ শিল্পের ব্যবসায়ীদের। 
প্রতিবারের মতো এবারও  মাংস কাটার সরঞ্জামাদি বেচা-বিক্রি নির্ভর করবে কোরবানির পশু বিক্রির ওপর। তাই ঈদের আগের রাতের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর বাজার রোড, হাটখোলা ঘুরে  দেখা যায়, কামারের দোকানগুলোতে অগ্রিম সাজিয়ে রাখা হয়েছে দা, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরালো সরঞ্জাম। ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন কামার পট্টিতে। 
বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। আগে যে সমস্ত দোকানে দুজন করে শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেই দোকানে শ্রমিক ৫-৬ জন করে। 
পশু জবাইয়ের ছুরি আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এ ছাড়া, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। বিভিন্ন সাইজের দা সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা, ভালো মানের বটি বিক্রি হচ্ছে বটি ২০০-৫০০ টাকা, চাকু আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর ওজন অনুযায়ী চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
নগরীর বাজাররোডের কামারশিল্পী নিতাই কর্মকার বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কাঁচামাল কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য দ্বিগুণ বেড়েছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪০০-৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন আমাদের ৮০০-৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। 
এ সময় হাতে টাকা-পয়সা না থাকলে ঋণ করে হলেও দা, বটি, ছুরি এসব তৈরি করার জন্য লোহা ও ইস্পাত কিনি আমরা। তাই আমরা চাপাতি, ছুরি ও দায়ের দাম একটু বেশি নিচ্ছি।
সাগরদি মাদ্রাসা এলাকার কামার লিটন মিয়া বলেন, ঈদে কোরবানির পশু যত বেশি বিক্রি হবে, তত বেশি আমাদের বেচা-বিক্রি হবে। প্রতি বছর এ ব্যবসায় অনেকটা কোরবানির পশু বিক্রির ওপর নির্ভরশীল।
এই বাজারে চাপাতি ও ছুরি কিনতে কামারের দোকানে এসেছেন আলম মিয়া। তিনি বলেন, এবার মাংস কাটা ও চামড়া ছড়ানোর সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। ঈদের কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামে সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে।
আরে ক্রেতা নিজাম উদ্দিন বলেন, কামাররা দেশীয় প্রযুক্তিতে লোহা আগুনে গরম করে পিটিয়ে তৈরি করেন দা ও ছুরি তৈরি করেন। নিজেদের সুবিধা মতো ওইসব জিনিস তৈরি করা যায়। গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেড়েছে। তবে সেগুলো খুব টেকসই হয়।


এমএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন