আগৈলঝাড়ায় ভাইয়ের আঘাতে ভাইয়ের মৃত্যু


আগৈলঝাড়ায় ভাইয়ের আঘাতে ভাইয়ের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুন ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দত্তেরাবাদ গ্রামের হাজী আব্দুল আলী মাস্টারের ছেলে রেলওয়ে বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নুরুল ইসলাম ওরফে খোকন সরদার (৬০) চাকুরী শেষে বাড়িতে এসে নিজ বাড়িতে একমাস পূর্বে পাকা ভবন নির্র্মাণ কাজ শুরু করেন।
জায়গা সীমানা নিয়ে জয়নাল সরদারের ছেলে একই বাড়ির চাচাতো ভাই খলিল সরদারের সাথে গতকাল বুধবার দুপুরে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এসময় রাকিব সরদার তার বাবা খোকন সরদারকে হামলা-সংঘর্ষের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে গেলে পিছন থেকে চাচাতো ভাই খলিল সরদার খোকন সরদারের মুখমন্ডলে কিল ও ঘুষি দেয়। এতে খোকন সরদার অচেতন হয়ে পরে।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। খোকনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে খলিল সরদার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে বুধবার রাতে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে খলিল সরদার মুখমন্ডলে আঘাতের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
খোকন সরদারের ছেলে রাকিব সরদার বলেন, আমার পিতা ও চাচা খলিল সরদার বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে বাকবিতন্ডা চলছিল। পিতাকে ঝাপটে ধরে ফিরিয়ে আনার সময় পিছন থেকে চাচা খলিল সরদার তার মুখে কিল ও ঘুষি দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পরে। তাকে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খলিল সরদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় খোকন সরদার উত্তেজিত হয়ে কথা বলার কারনে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে খোকন সরদার মারা যান। আমার স্বামী তার উপর আঘাত করেনি।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি আলম চাঁদ সাংবাদিকদের বলেন, লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতর পরিবার কোন অভিযোগ করেননি।
এইচকেআর
