আমতলীতে মাদ্রাসা ছাত্রী তানজিলা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন


বরগুনার আমতলীতে মাদরাসা ছাত্রী তানজিলা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, অপহরণকারী হৃদয় ও জাহিদুলের পায়ে পরে আমার মেয়ের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। কিন্তু ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় ওদের কঠোর বিচার দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হৃদয় ও জাহিদুল ঘটনার বর্ননা দিয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জানাগেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খাঁনে মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা তানজিলাকে গত সোমবার সকালে বাড়ীর সামনে থেকে চাচাতো ভাই হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়ীতে রেখে তারা ধর্ষণ করে।
ওইদিন রাতেই অপহৃতার বাবা তোফাজ্জেল খাঁনের কাছে হৃদয় খাঁন তার মোবাইল থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। বাবা তোফাজ্জেল খাঁন মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করে।
পরে তারা তানজিলাকে হাত-পা বেঁধে গলায় স্কার্ফ পেচিয়ে হত্যা করে। ঘাতকরা হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি তানজিলার মরদেহ পুজাখোলা খালের চরে হোগলপাতার খেতে কাঁদা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খাঁনকে আটক করে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ীর সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান বাদী হয়ে ঘাতক হৃদয় খাঁন এবং জাহিদুল খাঁনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এইচকেআর
