যদি দোকান দিয়ে বসতে পারতাম তাহলে আর বোতল টোকানো লাগতো না


ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বসবাস করেন নুরবানু বেগম। শহরের অলিগলি আর গ্রামগঞ্জে ভাঙারি সামগ্রী কুড়িয়ে বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী একটি ভাড়া করা ভ্যান আর বড় একটি বস্তা। সড়কে পড়ে থাকা বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করেন তিনি।
পরে তা কেজিদরে বিক্রি করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আয় করেন। এর মধ্যে প্রতিদিন ভ্যান ভাড়ার ৫০ টাকা গুনতে হয়। হাতে ২৫০ টাকার মতো থাকে। তাই সংসারের কাজে লাগান।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঝালকাঠি শহরের কলেজ খেয়াঘাট এলাকায় কথা হয় নুর বানু সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি চারবছর ধরে ভ্যানগাড়িতে করে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে সংসার চালাই। এর আগে শহরের পুরাতন কলাবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম।বর্তমানে আবাসনে একটা ঘর পেয়েছি সেখানে থাকি।
আমার স্বামী সোহরাব হাওলাদার বছরখানেক আগে রঙের কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে পা ভেঙেছে। সেই থেকে তিনি আর ভারী কাজ করতে পারেন না। মাঝেমধ্যে দিনমজুরের কাজ করে কিছু আয় করেন। আর আমার একমাত্র ছেলে রিয়াজ হাওলাদার বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছেন। তিনিও দিনমজুরের কাজ করে যা আয় করে তা দিয়ে তার সংসার চালান।
নুরবানু বেগম আরও বলেন, আমি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনা।আমি ৬ মাস ধরে অসুস্থ। তারপরও আমাকে ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। কারণ বের না হলে না খেয়ে থাকতে হবে। আর আমি যদি একটা দোকান দিয়ে বসতে পারতাম তাহলে আমার এই ভ্যানগাড়িতে করে রাস্তায় রাস্তায় বোতল টোকানো লাগতো না।
ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, নুরবানুকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। আর যাতে তিনি সাহায্য সহযোগিতা পান এ বিষয়ে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
এইচকেআর
