ছাত্রাবাসের আড়ালে গাঁজার গুদামঘর, প্রায় ৪ মণ গাঁজাসহ দুজন আটক


জয়পুরহাট শহরের চিত্রাপাড়া মহল্লায় ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ গাঁজার গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করছিলেন মাদক ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রাবাসে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি কক্ষ থেকে ১৫০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন। জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার মো. এমদাদ হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ছাত্রাবাসের পশ্চিম দিকের সর্বশেষ তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ১৫০ কেজি গাঁজা জব্দ ও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জয়পুরহাট চিত্রাপাড়া মহল্লার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সাব্বির হোসেন (৩০) ও একই মহল্লার প্রয়াত খলিল ম-লের ছেলে রতন ম-ল (৩২)।
র্যাব অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, চিত্রাপাড়া মহল্লায় তামিম ছাত্রাবাসের আড়ালে একটি কক্ষ গাঁজার গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ওই ছাত্রাবাসে অভিযান চালানো হয়। ছাত্রাবাসের পশ্চিম দিকের সর্বশেষ তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ১৫০ কেজি গাঁজা জব্দ ও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
রিয়াজ শাহরিয়ার আরও বলেন, মাদক ব্যবসার মূল হোতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। চলতি বছরে জয়পুরহাট জেলায় জব্দ করা বৃহৎ গাঁজার চালান এটি। এখান থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে গাঁজা বিক্রি করা হচ্ছিল।
তামিম ছাত্রাবাসে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রাবাসে থাকা সবাই অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ছাত্রাবাসের মালিক গোলাম ছারোয়ার বলেন, ‘ছাত্রাবাসে ২০ জন ছিলেন। ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে গাঁজা পাওয়ার পর সবাইয়ে ছাত্রাবাস খালি করতে বলেছিলাম। এ কারণে সবাই অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। যে কক্ষে গাঁজা পাওয়া গেছে, সেই কক্ষটিতে শুভ নামের একজন থাকতেন। ঘটনার পর তাঁকে ছাত্রাবাসে পাওয়া যায়নি। গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হওয়া দুজন ছাত্রাবাসের কেউ নন।’
আরজেএন
