১৬০ টাকা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম, কমেছে মুরগীর


বরিশালের বাজারেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ। কোরবানির আগেই কেজিতে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। এছাড়া টমেটোর কেজি ৬০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তবে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। আর অন্যান্য অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর পোর্ট রোড এবং সাগরদী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ‘মসলার বাজারে জিরার কেজি আরো ৫০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা, আদা ২৫০ থেকে ৩৫০, জিরা ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০, ইন্ডিয়ান ৩৫, দেশি রসুন ১৩০, ইন্ডিয়ান ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কচুর লতি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ , টমেটো ১৮০, পাতাকপি ৮০, গাডি ৮০, বেগুন ৬০, পেঁপেঁ ৫০, লাউ ৪০, করলা ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, ব্রয়লার মুরগী কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০, লেয়ার ৫ টাকা কমে ৩৪০ টাকা ও সোনালী ১০ টাকা কমে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
দিকে, পোর্ট রোড বাজারে দেখা গেছে, ‘নদী এবং সামুদ্রিক মাছের সংকট। এর ফলে ঘরের মাছের সরবরাহ অনেকটা বেড়ে গেছে। আর দামও অনেক বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
পোর্টরোডে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা নগরীর বটতলা এলাকার চাকরি আল আমিন জানিয়েছেন, ‘সামনে কোরবানী। এ কারণে আগেভাগেই মসলাজাতিয় সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে মূল্য বৃদ্ধি করছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা এমন সংকট সৃষ্টি করছে।
তবে কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহ আগের থেকে কমে গেছে। এ কারণে পাইকারী পর্যায়ে সবজির দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া নদী এবং সামুদ্রিক মাছ না থাকায় স্থানীয় ঘেরের মাছের দাম কিছুটা বেশি বলে স্বীকার করেন সাগরদী বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার।
আরজেএন
