বরিশালে যে দোকানে ১ টাকায় মেলে আলুর চপ


চারদিকে যখন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে চিন্তিত জনগন তখন বরিশালের রবিউল ইসলাম নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী আলুর চপ বিক্রি করছেন ১ টাকায়। শুধু আলুর চপই নয় ইফতারের অন্যান্য খাবারের দামও অবাক করছে ক্রেতাদের।
নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে রবিউলের খাবার হোটেলে ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেগুনি, শাকের চপ, কুমড়ার চপ, ধনিয়া পাতার চপসহ বাহারি ইফতারি আইটেম। ডিমের সাসলিক ১০ টাকা, মুরগির সাসলিক ২০ টাকা এবং গরুর সাসলিক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। রবিউল জানান, রোজার মাসে ইফতারকে কেন্দ্র করে ছোট পরিসরে একদম কম দামে ইফতারের খাবার বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র লাভের উদ্দেশ্যে নয় সেবার জন্য মূলত দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে ইফতারির খাবার যেন সহজলভ্য হয় সেজন্যই এই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। ১ম রমজান থেকেই এভাবে বিক্রি করে চলছি।
দাম কমিয়ে রাখাতে গিয়ে খাবারের মান ঠিক রাখেন কিভাবে? জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাজা খাবারই তৈরী করে বিক্রি করি। আলুর দাম এখন তুলনামূলক কম। অন্যান্য আইটেমগুলোও চাইলে সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করা সম্ভব। সবার মধ্যে সেই মানসিকতা নেই বলেই হয়তো সবাই কম দামে বিক্রি করতে পারছেননা।
কম দামে ইফতার কিনে খুশী এখানে আগত ক্রেতারাও। চৌমাথা থেক আসা কলেজ শিক্ষার্থী সানজীদা ইসলাম বলেন, আমরা এত কম দামে সুস্বাদু খাবার কিনতে পেরে খুশী। এখানে খাবারের মানও ভালো।
গির্জা মহল্লা থেকে আসা আরেক ক্রেতা মো. মিজানুর বলেন, কম দাম হবার কারনে এখানে অনেক ভীর থাকে। রবিউলের মতো অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সমমানসিকতার হলে জনগন খাবার নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারতো।
রবিউলের হোটেলটি মূলত ভাতের হোটেল। রোজার পরেও সুলভ মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা আছে তার। এছাড়াও ২৫ রমজানের পরে ‘বিশেষ চমক’ হিসেবে ইফতারির মূল্য আরো কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
টিইউ
