চিংড়ি জাল ও গোপজালে শেষ বিষখালী-বলেশ্বরে হাজারো প্রজাতির পোনা


বরগুনা পাথরঘাটায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চিংড়ি জাল গোপজাল ও বেহুন্দিজাল দিয়ে প্রতিদিন হাজারো প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করছে বিষখালী-বলেশ্বরে গোপজালে অসাধু জেলেরা। এই মরন ফাঁদে মারা পরছে হাজারো প্রজাতির মাছের ডিম,পোনাসহ নানা প্রজাতির মাছ।
বেশ কিছুদিন যাবত চিংড়ি জাল, গোপজালে ইলিশের বাচ্চা, ছোট কাঁকড়া, বৈরাগী, পোয়া এর পোনা ধরা পড়ছে আঞ্চলিক ভাসায় যাকে চাবলি বলে। জাটকা (ইলিশের বাচ্চা) বিক্রিকরা ও ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকার পরেও চরলাঠিমারা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে আলিম হাওলাদারসহ কিছু অসাধু জেলেরা হরিনঘাটার খালের দক্ষিণ পাশে লালদিয়া নামক স্থানে বিভিন্ন পন্থায় দীর্ঘদিন থেকে এই ছোটমাছ শিকার করে আসছে।
প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার ইলিশের বাচ্চা। বর্তমানে বাজারে অবৈধ মাছের পোনা বিক্রি না করতে পেরে গ্রাম গঞ্জে বিক্রয় করে আসছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাথরঘাটার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করছে। যে মাছটা বিক্রি হয় না সেটা শুঁটকি বানিয়ে পৌরসভার হলরোড এলাকার মৎস্য ব্যাবসায়ী দুলাল মিয়ার নিকট বিক্রি করে। দুলাল মিয়া উত্তর অঞ্চলে চালান করে কয়েক বছরের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রশাসন যদি ভালো করে নজরদারি করে। তাহলে কখনোই আমাদের পক্ষে এই মাছ ধরা সম্ভব নয়।
স্থানিয় সাংবাদিক সাফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, এভাবে যদি প্রতিদিন হাজার হাজার মাছ মারা যায়। তাহলে আমাদের যে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়। এই ঐতিহ্যবাহিক কথাটি এক সময় আমাদের মাজখান থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রশাসন যদি গুরুত্ব দিয়ে দেখে তাহলে হয়তো এই অবৈধ জাল বন্ধ করা সম্ভব।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আমরা প্রতিদিন নদীতে অভিযান করে থাকি কিছু অসাধু জেলে রয়েছে তারা বিভিন্ন সময় এই রকম কাজ করে আসছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধী ব্যাক্তিকে জেল জরিমানা করে থাকি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত আছে।
এইচকেআর
