ইমরান খানকে গ্রেফতারে বাড়ি ঘেরাও, উত্তপ্ত পাকিস্তান


পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারে তার জামান পার্কের বাড়ি ঘেরাও করেছে পুলিশ। তবে সমর্থকদের বাধার মুখে এখনো বাড়িটিতে ঢুকতে পারেনি তারা। বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়েছে। এসময় জলকামান ব্যবহার করলেও ইমরান খানের বাড়ি থেকে সর্বোচ্চ ৯০ মিটার দূরত্বে পৌঁছাতে পেরেছে পুলিশ।
এ অবস্থায় পিটিআই চেয়ারম্যান সব কর্মী-সমর্থককে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, তারা ভাবছে আমি গ্রেফতার হলে জাতি ঘুমিয়ে পড়বে। আপনাদেরই তাদের ভুল প্রমাণ করতে হবে।
জানা গেছে, তোশাখানা মামলায় আদালতের জারি করা পরোয়ানার ভিত্তিতে ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে গেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চলমান চারটি মামলার মধ্যে কেবল এই একটিতেই তার গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল হয়নি।
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের জন্য ইসলামাবাদ পুলিশের একটি দল সোমবার থেকেই লাহোরে রয়েছে। তবে পিটিআই চেয়ারম্যানের গ্রেফতার ঠেকাতে তার বাড়ি ঘিরে রাখে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক। এ অবস্থায় জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। তারা বর্তমানে ইমরান খানের বাড়ি থেকে ৯০ মিটার দূরে রয়েছে।
এর আগে সকাল থেকেই ৬ দফা দাবি আদায়ে নাসিকের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় নানা স্লোগান দিয়ে নাসিকের গেট অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন তারা। পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একদল পরিচ্ছন্নকর্মী ময়লা আবর্জনা নাসিকের বিভিন্ন গাড়িতে ছুড়ে মারে এবং নাসিকের ফটক থেকে ভেতর পর্যন্ত পথে ফেলে রাখে।
এ সময় মেয়র আইভী বের হয়ে বলেন, এখানে সবার বেতন ৩ মাস আগে থেকে বেড়ে আছে। তবে আমরা কারো টাকা দিতে পারি নাই কারণ টাকা নাই। ৮ হাজার টাকা হয়েছে বেতন এবং বাসা ভাড়া বাবদ পাবে ৫ হাজার। আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন সমস্যা নাই, অবরুদ্ধ করেন, স্লোগান দেন কিন্তু ময়লা ফেলার মত দুঃসাহস কিভাবে দেখালেন? এটি কোন ধরনের আচরণ।
এর আগে ৬ দফা দাবি আদায়ে সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এ সময় নিজেদের দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপনের কথা তুলে ধরেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
এ সময় তাদের পক্ষে শ্রমিক নেতা ও সিপিবি জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, সুইজারল্যান্ডে যদি কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী এক ঘণ্টা কাজ করে সে তিন হাজার ডলার পায়। শুধু ঘণ্টা নয় সেখানে যখন কেউ নিয়োগ পায় তাদের নিয়োগপত্র দেয়া হয় এবং সন্তানদের শিক্ষা ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেয়। কম টাকা দেয় এমন দেশ জাপান। সেখানেও এক ঘণ্টা কাজ করলে আপনি ১ হাজার ১৪৯ টাকা পাবেন। ইতালিতে পাবেন নয়শ টাকা। ইন্ডিয়া ও মিশর সবচেয়ে কম টাকা দেয়। সেখানেও প্রতি ঘণ্টায় একশ টাকার ওপরে দেয়।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সন্তানদের ভরণ পোষণ ও আবাসন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। আপনাদের আশ্বাস দেয়া হয় এপার্টমেন্ট হচ্ছে। আপনারা দেখছেন। আপনারা যখন সিটি করপোরেশনে ধর্মঘট করছিলেন মাননীয় মেয়র তখন দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন দেশে এসে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি করবেন। তারা তাদের কথা রাখছেন না। কারণ তারা মনে করে এই মানুষগুলোকে দাবিয়ে রাখা যাবে। আজ যখন আপনাদের দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আমরা অবস্থান করছি সিদ্ধিরগঞ্জের কিছু কাউন্সিলর হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সংগঠন নাসিকের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কিশোর লাল জানান, নাসিক এলাকায় ১২৪০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে। যাদের কোনো নিয়োগপত্র নেই।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মাত্র দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বেতন দিয়ে কি কারও পরিবার চলে? এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি পেশ করে ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
দাবিগুলো হলো, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কর্মরত সব পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাকরি স্থায়ী করতে হবে। সব পরিচ্ছন্ন কর্মীর ন্যূনতম দৈনিক হাজিরা ৬৫০ টাকা ও ট্রাক শ্রমিকদের ৭৫০ টাকা করতে হবে এবং প্রত্যেক শ্রমিকের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বা পূজার বোনাস প্রদান করতে হবে।
প্রতি ওয়ার্ডে দুইজন করে ডোম নিয়োগ দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় যদি কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ৫ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে। এছাড়া যদি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার কাষ্ট বা দাফনের জন্য পূর্বের বরাদ্দ ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে সেটি রিসিভ করেন তার গানম্যান শফিক। তিনি জানান, মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী একটি অনুষ্ঠানে আছেন। তার মুঠোফোনটি তাই আমার কাছে।
এইচকেআর
