ডাবের পানিতে তৃষ্ণা মেটাতে শত টাকা খরচ


প্রকৃতিতে এখন বসন্তকাল। চারিদিকে বইছে বসন্তের বাতাস। রাজধানীসহ সারা দেশের তাপমাত্রা এরইমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী। এতে তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠেছে প্রকৃতি ও মানুষ। তৃষ্ণা মেটাতে প্রকৃতি রয়েছে বৃষ্টির অপেক্ষায়। তবে তৃষ্ণা মেটাতে মানুষের পছন্দের তালিকায় সবসময়ই থাকে ডাব। কিন্তু মূল্য চড়া হওয়ায় অনেক মানুষই ডাবের পানিতে তৃষ্ণা মেটাতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, বিজয়নগর এবং প্রেস ক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় ৮০ থেকে ১০০ টাকায় একেকটি ডাব বিক্রি হচ্ছে।
প্রায় ৫০ বছর ধরে গুলিস্তান এলাকায় ডাব বিক্রি করে আসছেন মো. শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ডাবের দাম অনেক বেশি। আগে আমি মোহামেডান ক্লাবের খেলোয়াড়দের কাছে দৈনিক ৪৮টা ডাব বিক্রি করতাম। তখন ডাব ছিল চার টাকা পিস। আর এখন একেকটি ডাব বিক্রি করি ১০০ থকে ১২০ টাকায়। আমি বাছাই করে ডাব কিনি। প্রতিদিন শতাধিক ডাব বিক্রি হয়।’
নানাজনকে চাঁদা দেওয়ার পর সীমিত লাভ থাকে জানিয়ে পল্টনের আরেক ডাব বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একটা ডাব কিনি ৭০ টাকায়, বিক্রি করি ৮০ টাকা। এরমধ্যে সদরঘাট এলাকার ওয়াজ ঘাট পার হতে সিটি করপোরেশনকে ১০ টাকা দিতে হয়। ঘাটের সভাপতি রাখেন ৬০ টাকা। হিজরাদের টাকা দিতে হয়। ভ্যান ভাড়া বাবদ খরচ হয় ১২০ টাকা। এগুলো দিয়ে খুবই সীমিত লাভ হয়। সব খরচ বাদ দিলে দিনে ৬০০-৭০০ টাকা লাভ থাকে।’
চড়া মূল্যের কারণে অনেকেরই সবসময় ডাবের পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। এমনই একজন শাহেদ ইসলাম। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন হলো ডাব খাই না। গরম বেশি থাকায় আজ খেলাম। ১০০ টাকা দিয়ে একটা ডাব কিনতে হলো।’
ডাব কিনতে আসা আরেক ক্রেতা মো. শরীফ বলেন, ‘গত তিন দিন ধরেই গরম বেড়েছে। রাস্তায় ডাব দেখে ভাবি কিনবো, কিন্তু দাম বেশি হওয়া কিনতে পারিনি। আজ কেনার সাহস করলাম। দাম কম হলে অনেক ভালো হতো।’
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রাজধানীতে বেশিরভাগ ডাব আসে নোয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চল থেকে। এসব অঞ্চলের ডাবে পানি বেশি থাকে, আবার খেতেও সুস্বাদু হয়। অন্যান্য অঞ্চলের ডাবের পানি কিছুটা নোনা হলেও এসব অঞ্চলের ডাবের পানি তুলনামূলক মিষ্টি হয়ে থাকে।
এইচকেআর
