ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

Motobad news

গাজায় ফের ইসরাইলি বিমান হামলা

গাজায় ফের ইসরাইলি বিমান হামলা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার ভোরে এই অভিযান চালায় অবৈধ রাষ্ট্রটির বিমান বাহিনী।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের হামাস দক্ষিণ ইসরাইলে একটি রকেট নিক্ষেপ করার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির নতুন অতি-জাতীয়তাবাদী সরকারের অধীনে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা বেড়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের একটি রকেট কারখানায় লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে ওই স্থাপনায় কাঁচা রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।

এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত বুধবার ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেটকে রুখে দেয়। গত সপ্তাহে, একটি সামরিক অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর পাল্টাপাল্টি রকেট এবং বিমান হামলায় গাজার হামাস ও ইসরাইল পশ্চিম তীরে কয়েক মাসের আন্তঃসীমান্ত শান্তি ভঙ্গ করেছে।

ইসরাইলের স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।

ইসরাইলের উদ্ধারকারী পরিষেবা বলেছে যে- তারা একটি ৫০ বছর বয়সী নারী ছাড়া আহত হওয়ার কোনো খবর পায়নি। তবে তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দৌঁড়ানোর সময় পিছলে পড়েছিলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সাথে কঠোর আচরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার যুদ্ধমূলক অবস্থানের বিষয়ে হামাস ইসরাইলকে হুমকি দেয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকা পর্যন্ত অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীদেরকে ফিলিস্তিনের জন্য বীর হিসেবে শ্রদ্ধা করে।

বেন-গভির বলেছেন যে- গাজা থেকে নতুন রকেট হামলা ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিরুদ্ধে তার শাস্তিমূলক নীতি বাস্তবায়নে তাকে বাধা দেবে না। তিনি এ বিষয়ে জরুরি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠক ডেকেছেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সহিংসতা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ঘাঁটিতে ইসরাইলি অভিযানে নিহত ১০ জনের বেশিরভাগই হামাস সদস্য। পরের দিন, পূর্ব জেরুসালেমের একটি ইহুদি বসতিতে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে সাতজন নিহত হন। পৃথক আরেকটি ঘটনায় পূর্ব জেরুসালেম সপ্তাহান্তে ১৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনির গুলিতে দুই ইসরাইলি আহত হয়েছেন।

এমন অস্থিরতার পর ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অনুমোদন দেয়।

ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের, বিশেষ করে নারী বন্দীদের বিরুদ্ধে কারারক্ষীদের দ্বারা কথিত হামলার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস।

ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে- গত শুক্রবার সমস্যা শুরু হয়েছিল যখন তারা পূর্ব জেরসালেমের সিনাগগের বাইরে ভয়াবহ ফিলিস্তিনি হামলার পরে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্জন কারাগারে রেখেছিল।

জেল পরিষেবা জানিয়েছে, এক নারী ফিলিস্তিনি বন্দীকে বিচ্ছিন্নতার শাস্তি দেয়া হয়েছিল। প্রতিবাদে তার সেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিল। আরেকটি পদক্ষেপে জেল পরিষেবা রামাল্লা শহরের কাছে ইসরাইলের ওফার কারাগারের তিনটি কক্ষ থেকে টেলিভিশন সরিয়ে দিয়েছে।

সাবেক এবং বর্তমান বন্দীদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল প্যালেস্টাইনি প্রিজনারস ক্লাবের আমানি স্রানেহ বলেছেন, ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপ এবং বন্দীদের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকারের এই ‘নতুন উসকানি নীতি’ ‘খুব উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।

সূত্র : ইউএনবি


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন