মেসির আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনতে চেষ্টা করছে বাফুফে


২০১১ সালে মেসির আর্জেন্টিনা এসেছিল বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচও খেলেছিল মেসিরা। আবারও সেই আর্জেন্টিনাকে আনতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর সোনালি ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জয়ী দলকে ঢাকায় আনাটা ব্যাপক ব্যয়বহুল। তারপরও বাফুফে সভাপতি বলেছেন, চেষ্টা করতে দোষ কোথায়।
ইতোমধ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠিও দিয়েছে বাফুফে। গত ৫ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আর্জেন্টিনার ফুটবল প্রধান তাপিয়াকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী আছে। বিশ্বকাপের সময় আমরা সেটা দেখেছি। তাই আমরা ২০২৩ সালে সুবিধাজনক সময়ে মেসিসহ আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলকে বাংলাদেশে এনে একটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে চাই।’
সোমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলকে ঢাকায় আনা প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘চেষ্টা করছি। এখনো কনক্রিট কিছু হয়নি। চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই। জুন-জুলাইয়ের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে সম্ভব নয়। জুন-জুলাইয়ে আমরা চেষ্টা করব। প্রতিপক্ষ কে থাকতে পারে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। পিএসজিকে নিয়েও আমরা একটা চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা আছে। পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। মেসি পিএসজিতে না থাকলে এ ক্লাবকে এনে তো লাভ নেই।’
২০১১ সালে আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনতে বাফুফেকে প্রায় খরচ করতে হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আর্জেন্টিনাকে আনার বিষয়টা ব্যয়বহুল। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়?’
এএজে
