বিশ্বকাপে হতাশার অতীত ঘোচাতে প্রস্তুত নেইমার


ফুটবলে ২০১০ সালে ধুমকেতুর মতো উত্থান হয়েছিল নেইমারের। হয়ে ওঠেন ব্রাজিলের অন্যতম ভরসার নাম। সেই ভরসায় বাজি ধরে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন ২০১৪ সালে। সেটাও আবার ঘরের মাঠে। কিন্তু চোট পেয়ে মাঝপথেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তিনি। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভাঙে তার ভক্তদের। চার বছর পর রাশিয়াতেও সমর্থকদের প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি হলুদ-নীল জার্সিধারীরা।
হতাশায় মোড়ানো অতীত স্মৃতি ভুলতে এবার কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছেন নেইমার, যেন কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে পারেন। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষ হয়ে সেই ইঙ্গিতও যেন দিয়ে রেখেছে তারা।
নেইমারের বয়স এখন মাত্র ৩০ বছর। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারদের একজন তিনি। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে নিজের প্রত্যাশা পূরণের জন্য চোটের সঙ্গে বারবার লড়াই করতে হয় তাকে। সে লড়াই এখনও চলমান। যে কারণে কয়েক মাস আগে কাতারে তার জীবনের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সেই চোটের ঝুঁকি নিয়েই এবারও কাতারে ফেভারিটের তকমা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে নেইমারের ব্রাজিল। ক্লাব ফুটবলে এই মৌসুমের প্রথম তিন মাসের ফর্ম তার মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। যা টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের পথে অগ্রণী ভূমিকার রাখতে পারে।
প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগে প্রাক-মৌসুম প্রশিক্ষণের জন্য রিপোর্ট করার পর নেইমার পিএসজির হয়ে ফরাসি অভিযানে মাঠে নামেন। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৯ খেলায় ১৫ গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি লিওনেল মেসি কিলিয়ান এমবাপ্পের অনেক গোলে তিনিই অ্যাসিস্ট করেছেন।
পিএসজির জার্সিতে নেইমারের এমন ফর্মে মুগ্ধ খোঁদ ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ তিতে বলেছেন, ‘সে এখন উড়ছে। তার কঠোর পরিশ্রম করেছে, বিশ্বকাপের জন্য তার যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে। টুর্নামেন্টেই এ প্রস্তুতির ফল পাবে নেইমার।’
এএজে
