‘ফাইনাল খেলা হবে ডিসেম্বরে’

বিএনপি এক মহাদুর্যোগের নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি শুধু দুর্যোগের কথা বলে, কিন্তু তারাই একটি দুর্যোগ।
আজ শনিবার কুমিল্লা টাউন হলে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ওবায়দুল কদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ আসে, বিএনপির নেতাকর্মীরা খোয়াব দেখছেন। তাদের রঙিন খোয়াব কর্পুরের মতো উড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্টসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে পাড়ি জমানো তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছেন। কোনো দণ্ডিত নেতাকে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
বিএনপির চলমান আন্দোলন-সমাবেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাঠির আগায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আন্দোলনের নামে লাল-সবুজের পতাকার অবমাননা করেন। পতাকার এই অবমাননা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ফাইনাল খেলা হবে ডিসেম্বরে। আসল খেলা হবে রাজপথে। দেশবিরোধী অপশক্তির মোকাবিলা হবে। যারা মা-বোনের বুক খালি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা হবে। যারা আগুন সন্ত্রাস করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা হবে। ডিসেম্বরে হবে আসল খেলা। কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নোয়ানো হবে না, কোনো অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন— উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়া জড়িত না থাকলে খুনিদের দুঃসাহস হতো না বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার। পাকিস্তানিরাও যাকে হত্যা করতে পারেনি, হত্যা করার সাহস পায়নি। কিন্তু খুনি জিয়ার মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপর খুনিদের পুরস্কৃত করেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দেওয়া বিএনপির কাছে প্রশ্ন- কেন খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো? সেই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানও খুনের মাস্টারমাইন্ড। তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ মদদে একুশ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভি রহমানসহ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়। এ দেশের মানুষের দোয়ায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা, তিনি বেঁচে আছেন বলেই আমরা বেঁচে আছি। শেখ হাসিনা বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি। সম্মেলনে বিশেষ বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
শনিবার (৫ নভেম্বর) মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের প্রস্তাব এবং সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি পদে এমপি বাহার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মেয়র রিফাতের নাম ঘোষণা করেন অধিবেশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। পরবর্তীতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অধিবেশন পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
এএজে
