বামনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ 

বরগুনার বামনায় ২০ নং ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং সদস্যদের অভিযোগ।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় ২০ নং ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. আল আমিন তাঁর চাকুরীর নিয়ম নীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯ অক্টোবর বুধবার সকালে ২০ নং ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোসা. রুমা বেগম স্কুলে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আবর্জনা দেখে প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাফ হোসেনকে জানান।  তিনি দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. আল আমিনকে পরিস্কার করতে বললে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রুমা বেগমকে গালিগালাজ করে এবং এই কাজ ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা করবে বলে। 

এ নিয়ে পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষকবৃন্দ ও অনান্য ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা স্কুল লাইব্রেরীতে বসে সমাধানের চেষ্টা করলে আল আমিন কোন প্রকার তাঁর ভুলের স্বিকার করে না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিবু, আবু জাফর ও মোসা. রুমা বেগম বামনা উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তার বরাবরে দ্বায়িত্বে অবহেলা ও কমিটির সদস্যদের অপমান অপদস্ত করার সু-বিচার ও প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। 

অভিযুক্ত দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. আল আমিন জানান,  শিবু ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মান পাওয়ার যোগ্য না কারণ তাঁর আচার আচারণ ভালো না। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোসা. রুমা বেগম জানান, আমি দপ্তরী আল আমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসারের কাছে দরখাস্ত দিতাম না যদি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সঠিক সমাধান পেতাম। ২০ নং ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাফ হোসেন জানান, আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়কে নিয়ে বসেছি। 

আল আমিনকে ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিবুর সাথে কথা কাটাকাটি করে। ক্ষমা আর চাওয়া হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল জানান, আমি ২০নং ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।