৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে এবং ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পূর্বে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যত নির্বাচন হবে, সবটিতে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে। ইভিএম নিয়ে জাতীয় পার্টি বিভিন্ন সময়ে যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তা প্রমাণ করার জন্য এ নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা যে শঙ্কার কথা বলেছি তা সত্য প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনারের কথায়। আমরা আবারও বলতে চাই, ইভিএম দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরশাদের মাজার জিয়ারত শেষে জি এম কাদের বিকেলে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন।
গত শনিবার খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা বিএনপির যেসব নেতাকর্মী আহত হয়েছেন তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি যশোর ও খুলনায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদ আউয়ালসহ খুলনা ও যশোরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রিজভী খুলনার ফুলতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দলের ৪৮ জন আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে কুশল বিনিময় ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি যশোরের কেশবপুরে চারজন এবং মনিরামপুরে পাঁচজন আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন।
খুলনার আহত নেতাদের অন্যতম হলেন- আবুল বাশার, আনোয়ার, মফিজ চেয়ারম্যান ও বাবু। কেশবপুরের আহত নেতাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ ও রশিদুল ইসলাম ছানা এবং মনিরামপুরের আহতরা হলেন- আব্দুর রহিম শেখ ও মমতাজুল ইসলাম প্রমুখ।
তিনি বলেন, আসলে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় আছে দেশের জনগণ। জনগণ তাকে ত্যাজ্য করেছে। যে কারণে তারা জোর জুলুম চালাচ্ছে।
আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করে রিজভী বলেন, আমাদেরকে আরও তেজোদীপ্ত ও শক্তিশালী হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ও গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এএজে
