৪ সদস্য প্রার্থী পেলেন শূন্য ভোট


ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে চারজন সদস্য প্রার্থী পেয়েছেন শূন্য ভোট। তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের ভোটটিও পায়নি তারা।
চার প্রার্থী হলেন, ৩নং রাজাপুর ওয়ার্ডের মুকুল মৃধা, ৪নং কাঠালিয়া ওয়ার্ডের এড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম, সংরক্ষিত নারী (রাজাপুর-কাঠালিয়া) ওয়ার্ডের জোৎসা খানম ও সোনিয়া আক্তার। তারা সবাই সরকার দলীয় নেতা ও সমর্থক।
মুকুল মৃধা রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের পদে রয়েছেন। কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম। তবে জোৎসা খানম সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তার স্বামী কাজল সিকদার কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
অপরদিকে, সোনিয়া আক্তারের বড় বোন ইয়াসমিন রাব্বী পপি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি পদে আছেন। পপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মাঠে আছেন। তাদের কোন ভোট না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ আশ্চর্য হয়েছেন।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর ভোটও পায়নি সোনিয়া। এমনকি সোনিয়া আক্তারের আপন ভাই রাজাপুর সদর ইউপি সদস্য মিজানুর মাঝির ভোটটিও পায়নি তিনি। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার এ নিয়ে কোন আক্ষোপ নেই।
মুকুল মৃধা ভোটের দিন দুপুর ১২টায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ভোটারদের ওয়াদামতো আমার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত।'
ফলাফল ঘোষণার পর তিনি বলেন, 'আমি আমার দলের নেতৃবৃন্দের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। জেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেছিল, কিন্তু আমি তা করিনি। এটাই ছিল আমার অপরাধ।
জোৎসনা খানমের স্বামী কাজল সিকদার বলেন, যেহেতু ভোট কেনাবেচা হয়েছে। তাই আমরা নির্বাচিত হতে পারব না দেখে আগেই আমাদের ভোটারদেরকে জাহানারা হককে ভোট দিতে বলেছি। তাই আমরা কোন ভোট পাইনি।
এড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এএজে
