ঝালকাঠিতে মসজিদ তহবিলের অর্থ আত্মসাত


ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাগড়াখানা গ্রামের নূরানী জামে মসজিদের সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমানের অর্থ-আত্মসাৎ এর বিচার নতুন কমিটি গঠনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদের অন্যতম জমিদাতা মো. শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে জমিদাতাদের মধ্যে আনসার আলী, মুনসুর আলী, আবুল হোসেন, সালাম ঢালী ও মজিদ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মসজিদের জমিদাতা ও অনুদান প্রদানকারী মো. শহিদুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে নলছিটি উপজেলার খাগড়াখানা গ্রামে ১২ শতাংশ জমির ওপর নূরানী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমার মা মসজিদে ২ শতাংশ জমি দান করে। প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করে ২০১৬ সালে মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। যার বেশীরভাগ অর্থ আমি দিয়েছি। কখনও নগদ কখনও মসজিদের ব্যাংক হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মুফতি মাহবুবুর রহমান।
সম্প্রতি মাহবুবুর রহমানের কাছে আমিসহ মুসুল্লীরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া টাকার আয় ব্যায়ের হিসাব চাইলে তিনি হিসাব দিতে টালবাহানা শুরু করেন এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে অস্বীকার করেন। আমি বহু কস্ট করে ইসলামী ব্যাংক ঢাকা লোকাল অফিস থেকে মসজিদের হিসাব নং ২০৫০১৮৩০২০২৩১৯৯০৫ এর স্টেটমেন্ট উঠিয়ে দেখতে পাই মসজিদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ০৪৩৫৫৯১৭ নম্বর চেক দিয়ে দুই লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন । কিন্তু এই টাকা দিয়ে তিনি কি করেছেন তাঁর কোন হিসাব দেন না । মসজিদের আয় ব্যায়ের রেজিস্টারে দুই লাখ টাকার কোন বিবরণ নাই।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত করে সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে ১ লক্ষ টাকা হিসাবে জমা দিতে বলেন এবং মসজিদের নতুন কমিটি গঠন করার জন্য এলাকার ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
এ ঘটনার পর মসজিদের সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান তাঁর ভাই মাসুম বিল্লাহর সহযোগীতা নিয়ে শহিদুল ইসলামসহ অন্যকয়েকজন দাতাদের বিরুদ্ধে আদালতে কমিটি গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের বিচার ও নতুন কমিটি গঠন করার জন্য সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির মুফতি মো.মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন শহিদুল ইসলাম। আমি নামেমাত্র সভাপতি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন আমার ভাই মাসুম বিল্লাহ।
এইচকেআর
