ঝালকাঠিতে ১৭৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা


ঝালকাঠিতে এ বছর ১৭৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে পুরোদমে। মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা কমিটিগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলা প্রশাসনও পূজা অনুষ্ঠানের সকল ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রস্তুতিমূলক সভা ও সম্প্রীতির সমাবেশ। সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সুষ্ঠুভাবে সনাতন ধর্মাবলম্ভিদের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এবছর দুর্গা আসছেন গজে চড়ে, যাবেন নৌকায়। শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরায় ভরে উঠবে দেশ এ প্রত্যাশায় সনাতন ধর্মবলম্বীরা।
আয়োজককারীরা জানায়, আগামী এক অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর পরেই শুরু হবে রং তুলির কাজ। আয়োজকরাও ব্যস্ত সফলভাবে পূজা আয়োজনের কাজে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থতি বিবেচনা করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আলোকসজ্জার পরিধি কমিয়ে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিটিগুলো। জেলা সদরে ১৩টিসহ জেলায় মোট ১৭৪টি পূজা মণ্ডপ স্থাপিত হচ্ছে।
প্রতিমাশিল্পীরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি তাদের মজুরী ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার ও তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্গাপূজার সকল পস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমা কারিগর উত্তম পাল বলেন, এ বছর সরঞ্জামাদির মূল্য বেশি থাকায় আমাদের মজুরী সঠিকভাবে পাচ্ছি না। এর পরেও মা দুর্গার আগমে আমাদের উৎসবের কথা চিন্তা করে কাজ করে যাচ্ছি। পূজা উদযাপন কমিটি যে টাকা দিবে তাতেই আমরা সন্তুষ্ঠ।
ঝালকাঠি জেলা পূজা উদডাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসীম কুমার সাহা বলেন, এ বছর আমাদের জেলায় ১৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ, এখন রং করা বাকি আছে। উৎসবকে ঘিরে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা করছে। আশাকরি সফলভাবেই দুর্গোৎসব পালন করতে পারবো।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, দুর্গোৎসব যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মঙ্গলবার সকালে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষ করেছি। সকল ধর্মের লোকদের নিয়ে সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। আশাকরি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবের মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বিরা দুর্গাপূজা পালন করবেন।
এইচকেআর
