রুট পারমিটের অজুহাতে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে বরগুনার মানুষ


রুট পারমিট না থাকার অজুহাতে সম্প্রতি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিকরা। এতে মির্জাগঞ্জ এবং আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। তাই সময় লাগছে ১০ ঘণ্টারও বেশি। ফলে দুর্ভোগ পোহানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ রুটের যাত্রীরা। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
সোহেল নামের এক যাত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা পৌঁছাতে সময় লাগত পাঁচ ঘণ্টার মতো। কয়েক দিন ধরে এ সড়ক দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে আমাদের বরগুনা থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে বরগুনা পৌঁছাতে সময় লাগছে ১০ ঘণ্টার বেশি। পদ্মা সেতুর সুফল থেকে এখন আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।'
ফারজানা ইসলাম নামে অপর এক যাত্রী বলেন, ছোট বাচ্চা নিয়ে বাসে ঢাকা থেকে বরগুনা এসেছি। সড়কপথে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনা আসতে হয়েছে আমাদের। এতে সময় লেগেছে ১০ ঘণ্টারও বেশি। অথচ কয়েক দিন আগে আমি বাসে পাঁচ ঘণ্টায় বরগুনা থেকে ঢাকা পৌঁছেছি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পরও আমাদের দুর্ভোগ কমেনি। আগের মতোই আছে।
এ বিষয়ে বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আমি বাস মালিক ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যেই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।
এসএমএইচ
