ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

Motobad news

বাউফলে ইউপি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি

বাউফলে ইউপি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতের কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপনির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অব্যাহত হুমকিতে আতঙ্কিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

এমন অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতীকের এসএম মহসীন।

এসএম মহসীন অভিযোগ করেছেন,আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের ছেলে সৌমিকসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে তাঁর (এসএম মহসীন) কর্মী-সমর্থকেরা দিনের বেলা পোষ্টার টাঙালে রাতের বেলা ওই পোষ্টার নামিয়ে ফেলা হয়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁর সব পোষ্টার নামিয়ে ফেলা হয়েছে। ইউনিয়নের কোথাও কোনো পোষ্টার নাই। সরেজমিনেও নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের নাজিরপুর, তাঁতেরকাঠী, বড় ডালিমা, ধানদী, ছয়হিস্যা বাজার এলাকায় চশমা প্রতীকের কোনো পোষ্টার টাঙানো দেখা যায়নি।

মহসীন আরও বলেন,এর আগে গত রোববার (২৮ আগস্ট) মো. রাসেল হাওলাদার (৩২) নামে চশমা প্রতীকের এক কর্মী সুলতানাবাদ বাজারে পোষ্টার টাঙাতে গেলে তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে নৌকার কয়েক কর্মী। আহত রাসেল এখনও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

মো. রিফাত (২০) নামে চশমা প্রতীকের এক কর্মী অভিযোগ করেছেন, বুধবার সকালে তাতেরকাঠী রাস্তার এলাকায় সৌমিক (নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে) গিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্য। সৌমিক হুমকি দিয়ে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,যাঁরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখিয়ে নৌকায় ভোট দিবেন তাঁরাই কেবল কেন্দ্রে যাবেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য সৌমিকের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত,ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক ওরফে রাসেলের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করে ২৫ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৭ জুলাই নির্বাচনের দিন ধার্য্য ছিল।

বিতর্কিত ও নেতিবাচক বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই ২৪ আগস্ট  আগামি ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ফের প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

এর আগে ৩ আগস্ট বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া এবং ইভিএমে ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার  বিতর্কিত মন্তব্যের তদন্ত করতে বাউফলে আসেন। ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতা তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন,‘তদন্তে যা পেয়েছি তা মাননীয় ইসি বরাবরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এর বাহিরে তাঁর কিছু বলার নাই।’

আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক ২৩ জুলাই এক উঠান বৈঠকে বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে।অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ আওয়ামী লীগের ওই নেতার বক্তব্যের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে যাওয়ার পর নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন