বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হাসিবুর

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী মো: হাসিবুর রহমান সাব্বির (২২) বাঁচতে চায়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তাঁর অসহায় পরিবার।
কঠিন এ দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ মাস যাবত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসিবুর । অর্থ সংকটে চিকিৎসার করাতে না পেরে ধুঁকে ধুঁকে হাসাপাতালের বেডে জীবন পার করছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
হাসিবুর রহমান এর বাড়ি বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে। বাবা একজন ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক মো: বশির আলম। মা মোসা: সালমা আক্তার গৃহিনী। বশির আলমের দুই সন্তান। বড় ছেলে অসুস্থ হাসিবুর ঢাকা কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত । আর ছোট মেয়ে মোসা: জান্নাতি আক্তার মনি বেতাগী ডিগ্রী কলেজের এইচ.এসসি‘র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
হাসিবুর বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এস.এস.সি ও এ্ইচ.এস.সিতে জিপিএ লাভ করে। সংসারের অভাব অনটনের কারণে বড় ছেলের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমানের চিকিৎসা করাতে পারছেন না বাবা বশির আলম। এখন নিরুপায়, অসহায় এই শিক্ষার্থীর মা ও বাবা! মেধাবী ও আদরের একমাত্র পুত্র সন্তানের এই অবস্থায় আর সহ্য করতে পারছেন বাবা-মা আর বোন। চিকিৎসার সাধ্যও তাদের নেই। এমনকি সস্মানের হানির ভয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারেও ঘুরে সন্তানের চিকিৎসা খরচ যোগাতে পারছেন না তারা।
হাসিবুর রহমান বর্তমানে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ১৫ তলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা: আব্দুল আজিজ আহমেদের তত্তাবধানে হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টর ডি ব্লকের এমপি-০২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শিক্ষার্থী মো: হাসিবুর রহমান বলেন, রোগের ধরন বি-এ.এল.এল.আই। ব্লাড ক্যান্সারের মূলত দুই ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। একটা কেমোথেরাপি আর একটা বর্নমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন। বর্নমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আগের মত হওয়া সম্ভব। আর কেমোথেরাপির মাধ্যমেও সুস্থ হওয়া যায় কিন্তু সেটার সম্ভাবনা খুবই কম আর কেমোর মাধ্যমে সুস্থ হলেও আবার ২ থেকে ৪ বছর পরে পুনরায় আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বর্নমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশনে সেটা থাকে না।
যেহেতু কেমোথেরাপিতে খরচ তুলনামূলক অনেক কম তাই আমি এখন সেই চিকিৎসা নিচ্ছি। কিন্তু ২ সাইকেল কেমো শেষ হওয়ার পরও তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা এখন বর্নমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশনের কথা বলছেন। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন আর বাংলাদেশে এখন সিএমএইস ছাড়া অন্য কোথাও এটা হয় না।
তাই যখন প্রথম হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলাম তখনও ডাক্তার এটার কথা বলছিল। সিএমএইসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলছিলাম সে বলেছেন যদি আমার বোনের সাথে ১০০% ম্যাচিং হয় তাহলে আনুসাঙ্গিক খরচ ব্যতিরেকে শুধু অপারেশনেই খরচই ১৬ লাখ টাকা আর ৫০% মিললে ২০ লাখের উপরে। এছাড়াও আরো খরচ রয়েছে। এ পর্যন্ত আমার চিকিৎসায় প্রায় ৪ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে আর বর্নমেরু প্রতিস্থাপনের আগেও কেমো দিতে হবে তাতে আরও প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত খরচ হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কেমো খরচ যোগাতেই আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে সহযোগিতা নিতে হয়েছে একাধিকবার।
অসহায় মা ও বাবা চায় তাঁদের সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে, শুধূ প্রয়োজন মানবিক সহায়তা, আর এ একটু সহযেগিতায় ফিরে পাবে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজে পড়ুয়া মেধাবী এই শিক্ষাথী নতুন জীবন। পরিবারটি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্রী, এমপি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সহযোগিতা পেলেই তাঁর চিকিৎসা হবে। প্রয়োজনে ০১৭১৮০১৯৬৩৫ মুঠোফোনে নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
এএজে
