বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না- আমির হোসেন আমু
বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না দাবি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি প্রথমে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে আন্দোলন শুরু করলেন, মানুষ সাড়াদিল না, পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-জাতীয় সরকারের দাবি করলেন মানুষ বিভ্রান্ত হলো, তাদের একেকবার একেক কথা শুনে।
বিএনপির আন্দোলনও ব্যর্থ হয়ে গেলে। এখন হঠাৎ যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা, সারাদেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে, তখন তারা জাতিকে নতুন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বুধবার বিকেলে ঝালকাঠিতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের সাধনার মোড়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও কিছুটা কষ্ট ভোগ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ বর্ষিয়ান নেতা বলেন, বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ। যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে, অথবা রপ্তানি করা হয়, সবদেশই আজকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই বাংলাদেশের মানুষও কিছুটা কষ্ট ভোগ করছে। কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন থাকবে না, শেখ হাসিনার দুরদর্শী পদক্ষেপের কারণে আমরা অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছি।
আমির হোসেন আমু বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তেল-গ্যাসের অভাবসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থার উত্তোরণের জন্য শেখ হাসিনা সাময়িকভাবে কতগুলি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেগুলোকে পুজি করে বিএনপি আন্দোলনের চেষ্টা করছে। আশাকরি তাঁরা সব আন্দোলনেই ব্যর্থ হবেন।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশকে ৪০ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু চট্রগ্রামের বেতবুনিয়ায় প্রথম স্যাটেলাইট স্টেশন নির্মাণ করেছিলেন। ৭৫ এর পর অনেক সরকার ক্ষমতায় এসছে কিন্তু কেউ স্যাটেলাইট নিয়ে আর ভাবেনি। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার বঙ্গবন্ধুর নামে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে আরও ৪০ বছর আগে তাঁর নেতৃত্বেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হতো।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, আমির হোসেন আমুর কন্যা সুমাইয়া হোসেন অদিতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগ নেতা কামাল শরীফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম. সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, নলছিটি পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল।
এএজে
